ঝাড়খণ্ডের অস্ত্র কারখানার হদিশ, পর্দাফাঁস করল কলকাতা এসটিএফ
বর্তমান | ৩১ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: ঝাড়খণ্ডের অস্ত্র কারবারের হদিশ দিল বাংলার পুলিস। কলকাতা এসটিএফ খবর পায়, ধানবাদের মহোদা থানা এলাকায় অস্ত্র কারখানা রয়েছে। সেখান থেকে ট্রেনে, বাসে করে অস্ত্র ঢুকছে বাংলায়। তারপরই ঝাড়খণ্ড পুলিসের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে যোগযোগ করা হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহোদা থানার সিংড়া এলাকায় এসটিএফ কলকাতা, এটিএস রাঁচি স্থানীয় পুলিসকে নিয়ে অভিযান চালায়। সেখানেই মুর্শিদ আনসারির কুঁড়েঘর থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। বাড়ির মালিকের পাশাপাশি গ্রেপ্তার হয়েছে চার অস্ত্র কারিগরও। তারা মুঙ্গের থেকে এসে এখানে অস্ত্র তৈরি করত।
ঝাড়খণ্ডের বাগমারার এসডিপিও পুরুষোত্তমকুমার সিং বলেন, কলকাতা এসটিএফের সূত্র ধরেই অভিযান চালানো হয়। বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
বাংলায় অবৈধ অস্ত্র কারবারে বারবার নাম ছড়িয়েছে মুঙ্গেরের। সেখান থেকেই সস্তায় অস্ত্র ঢোকে বাংলায়। বহুক্ষেত্রেই রুট ছিল আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল হয়ে। এবার অস্ত্র কারবারিদের ডেরা বদল হয়েছে। মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারিরা ঝাড়খণ্ডের অস্ত্র কারখানায় কাজ করছে। সেখানকার প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে অতি নিম্নমানের বাড়িতেই অস্ত্র কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে কলকাতা এসটিএফ একাধিক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি বহু কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের সূত্র ধরেই উঠে আসে মুর্শিদ আনসারির নাম। সে নিজের বাড়িতে কারখানা গড়ে অস্ত্রের কারবার চালাচ্ছে। তারপরই শুরু হয় অভিযান। অভিযানে অংশ নিয়েছিল কলকাতা এসটিএফের একটি টিম। মুর্শিদের কারখানায় তখন অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত ছিল বিহারের মুঙ্গেরের মহম্মদ সাবির আনসারি, মহম্মদ পারভেজ, মহম্মদ মুস্তাফা ও মহম্মদ মিস্টার। পুলিসের অভিযানে হাতেনাতে তারা ধরা পড়ে যায়।