• পালিয়ে বিয়ে করা নাবালিকার সিঁদুর মুছে মুচলেকা দিল পরিবার
    বর্তমান | ৩১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালনা: সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে প্রেম। প্রেমিকের টানে ঘর ছেড়েও বিয়ের স্বপ্ন পুরণ হল না এক নাবালিকার। কালনা-১ ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় নাবালিকা ও তার পরিবার ব্লক অফিসে হাজির হয়ে মুচলেকা দেন। ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না মুচলেকা দিয়েছে নাবালিকার পরিবার।

    স্থানীয় ও ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা-১ ব্লকের বাসিন্দা দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় পূর্বস্থলীর এক যুবকের সঙ্গে। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।  ওই যুবক ভিনরাজ্যে কাজ করে। যুবক বিয়ের প্রস্তাব দিলে নাবালিকা রাজি হয়ে যায়। তারপরই ওই যুবক ভিনরাজ্য থেকে গ্রামে ফিরে আসে। ২২মে নাবালিকা যুবকের হাত ধরে ঘর ছাড়ে। তারা বিয়েও করে। খবর পৌঁছয় ব্লক প্রশাসনের কাছে।

    বৃহস্পতিবার রাতে ব্লক প্রশাসনের এক প্রতিনিধি দল ওই নাবালিকার বাড়িতে যায়। বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকা বিয়ে করেছে বলে পরিবারের সদস্যরা স্বীকার করেন। এরপরই  ব্লক প্রশাসন পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, কোনও ভাবেই নাবালিকা অবস্থায় মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শুক্রবারের মধ্যে নাবালিকাকে ব্লকে হাজির করতে হবে। সেই মতো এদিন দুপুরে মেয়ের সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়ে তাকে ব্লক অফিসে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। বিডিও সুপ্রতীক সাহা বলেন, বৃহস্পতিবার আমাদের কাছে খবর আসে দশম শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ের তোড়জোড় হচ্ছে। রাতেই প্রতিনিধি দল নাবালিকার বাড়িতে যায়। শুক্রবার পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে ব্লক অফিসে নিয়ে আসে। তাঁরা মুচলেকা দিয়েছেন ১৮ বছর না হলে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। এবার স্কুলে গিয়ে নাবালিকা বিয়ের ব্যাপারে সচেতনতার প্রচার চালানো হবে।

    নাবালিকা বিয়ে আটকাতে জেলা প্রশাসন নানা ভাবে প্রচার চালাচ্ছে। তা সত্ত্বেও নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করা যাচ্ছে না। এর জন্য মোবাইলকে দায়ী করছে সাধারণ মানুষ।
  • Link to this news (বর্তমান)