• কুসুম্বায় রেলের আন্ডারপাস তৈরির কাজে বাধা, বিক্ষোভ
    বর্তমান | ৩১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: শুক্রবার রেলের আন্ডারপাস নির্মাণে বাধা দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। রেল পুলিস বিক্ষোভ তুলতে এলেও মানুষের বাধা পেয়ে পিছু হটে। রামপুরহাটের আরপিএফ ইনসপেক্টর রণধীর কুমার বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেমন নির্দেশ আসবে, তেমনটাই করা হবে।

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, রামপুরহাট–দুমকা লাইনের কুসুম্বা গ্রামের কাছে ৩০ নম্বর রেলগেটে যে আন্ডারপাসটি তৈরি হচ্ছে তা স্থানীয় মানুষকে সমস্যায় ফেলবে। তাঁদের বক্তব্য, সেচ ক্যানেল লাগোয়া নিচু এলাকায় আন্ডারপাস হলে যাতায়াত সমস্যায় পড়তে হবে তাঁদের। বিক্ষোভকারী মুকুল মুখোপাধ্যায় বলেন, যেখানে আন্ডারপাস করা হচ্ছে তার পাশেই সেচ ক্যানেল। বৃষ্টি হলেই ক্যানেল ছাপিয়ে আশপাশের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রেল লাইন মাটি থেকে ছ’ ফুট উঁচুতে। আন্ডারপাসের জন্য আরও প্রায় ১০ ফুট নীচে খনন করতে হবে। তাতে সারাবছর ওই আন্ডারপাসে জল জমে থাকবে। খুদে পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকে যাতায়াত সমস্যায় পড়বে। রেল বলছে, পাম্প দেবে। কিন্তু বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। পাম্প চলবে কী করে। তিনি বলেন, রেল যদি মানুষের স্বার্থ দেখে, তাহলে এই অপরিকল্পিত কাজ বন্ধ করুক।  রেল হয় রেল ওভার ব্রিজ (আরওবি) করুক, নচেৎ যেমন আছে তেমনই থাক। কুসুম্বা ও আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বুক চিরে চলে গিয়েছে রামপুরহাট-দুমকা রেল লাইন। কুসুম্বা গ্রামের শেষে লেভেল ক্রসিং গেট রয়েছে। রানিনগর, অনন্তপুর, পারকান্দি, কুসুমদই, নাইসোর, সৈপুর, বৈধরা, বাগানপাড়া সহ ৩০টির বেশি গ্রামের মানুষ এই রেলগেট পেরিয়ে রামপুরহাট শহরে আসা যাওয়া করেন। কুসুম্বা হাইস্কুল ও প্রাথমিক স্কুলে যায় বহু খুদে পড়ুয়া। রামপুরহাট ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য আসেন বাসিন্দারা। দিন কয়েক আগে লেভেল ক্রসিং গেট সংলগ্ন এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করে রেল। এর প্রতিবাদে রেলের কাছে গণসাক্ষরিত অভিযোগপত্র দেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তারপরও কাজ চালিয়ে যাওয়ায় রেলের বিরুদ্ধে সরব হন এলাকার মানুষ। এদিন সকালে তাঁরা নির্মাণ বন্ধ করে রেলগেটে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য মুকুল মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায়ও। 

    বিক্ষোভরত সুখদেব মণ্ডল, নারায়ণ লেট, দুর্গা মণ্ডলরা বলেন, আন্ডারপাসের তলা দিয়ে হারভেসস্টার মেশিন পার হবে না। ফলে এলাকার চাষের ক্ষতি হবে। কিছুটা দূরে শিবদাসপুর ও সিউড়া গ্রামে দু’টি আন্ডারপাস রয়েছে। সেখানে একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। সেখান থেকে এই এলাকা আরও নিচু। ক্ষোভের সুরে তাঁরা বলেন, মুরারইয়ে আন্ডারপাসে জল জমার সমস্যা মেটাতে পারছে না রেল। বাধ্য হয়ে সেখানে লেভেল ক্রসিং গেট খুলে দিতে হয়েছে। আমরা চাই, রেল ইতিবাচক ভূমিকা নিক। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)