• জিয়াগঞ্জে টোটো চুরির পান্ডা সহ ধৃত ৫
    বর্তমান | ৩১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: টোটো চুরি গ্যাংয়ের পান্ডা সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে চুরি হওয়া ১১টি টোটো। বৃহস্পতিবার দিনভর তল্লাশি চালিয়ে লালবাগ, সাগরদিঘি, জলঙ্গি ও লালগোলা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মিঠুন শেখ ওরফে রাহুল, আসাদুল শেখ, আমিনুল শেখ, গোলাম কিবরিয়া ও সেলিম শেখ। প্রথম দু’জনের বাড়ি লালগোলা থানা এলাকায়। আমিনুলের বাড়ি জলঙ্গি, সেলিমের বাড়ি লালবাগ এবং গোলাম কিবরিয়ার বাড়ি সাগরদিঘিতে। ধৃতদের ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তিনদিনের নির্দেশ দেন। এদিন দুপুরে জিয়াগঞ্জ থানায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে ডিএসপি ক্রাইম আনন্দ মণ্ডল বলেন, এই গ্যাংয়ের মূল পান্ডা সাগরদিঘির কড়োয়ার গোলাম কিবরিয়া। গত ৪ এপ্রিল জিয়াগঞ্জ থানায় টোটো চুরির একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে লালগোলার বাসিন্দা মিঠুন শেখ ওরফে রাহুলকে চিহ্নিত করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে লালগোলার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্যাংয়ের মূল পান্ডা সহ আরও চারজনের নাম উঠে আসে। ওইদিন রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে গত কয়েক মাসে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারা ৪০-৫০টি টোটো চুরি করেছে। খুব শীঘ্রই বাকি টোটোগুলি উদ্ধার করা হবে। ওই গ্যাংয়ের সঙ্গে আরও কারা যুক্ত রয়েছে এবং আন্তঃরাজ্য চুরি চক্রের সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, মূলত ফাঁকা জায়গায় দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখা চালকহীন টোটোগুলিকে ধৃতরা টার্গেট করত। তারপর বেশ কয়েকদিন ধরে রেইকি করত। তারপর দু’-তিনজন একসঙ্গে অপারেশন চালাত। একজন এলাকার উপর নজরদারি চালাত। পরিস্থিতি অনুকূল বুঝে ফোন করা হতো কিছুটা দূরে অপেক্ষায় থাকা অপরজনকে। সে তখন সুযোগ বুঝে টোটো নিয়ে চম্পট দিত। চুরি করা টোটোগুলি পৌঁছে দেওয়া হতো গোলাম কিবরিয়ার জিম্মায়। সে তখন লালবাগ, জলঙ্গি, বহরমপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত। দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই গ্যাং সক্রিয় থাকলেও পুলিস তাদের নাগাল পায়নি। অবশেষে জিয়াগঞ্জ থানার তৎপরতায় এই চক্রের পর্দাফাঁস হল। জলঙ্গি থেকে ন’টি এবং লালবাগ থেকে দু’টি টোটো উদ্ধার করা হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)