• ঠিকা-প্রজার স্বত্ব কাউন্সিলারদের বোঝাতে টাউন হলে সভা মেয়রের
    বর্তমান | ৩১ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রায় সাত বছর পর ঠিকা জমিতে ঠিকা-প্রজার উত্তরাধিকার স্বত্ব প্রদানে সম্মতি দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। সেই মতো এবার শুরু হবে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ। আগামী ২ জুন থেকে আবেদনের ফর্ম বিলি শুরু হবে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ঠিকা জমির নাম পরিবর্তন বা ট্রান্সফারের মাধ্যমে উত্তরাধিকার স্বত্ব পাওয়ার সুযোগ মিলবে ছ’মাসের জন্য। শুক্রবার টাউন হলে পুরসভার ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের ডাকা হয়েছিল। ঠিকা সংক্রান্ত যাঁর যা প্রশ্ন রয়েছে, সেগুলি স্পষ্ট করতেই এদিনের সভা ডেকেছিলেন মেয়র। পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় সহ অন্যান্য মেয়র পারিষদ  উপস্থিত ছিলেন। ঠিকা সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন করেন কাউন্সিলাররা। জবাব দেন ফিরহাদ হাকিম এবং ঠিকা কন্ট্রোলার সোমনাথ দে।

    এর আগে একাধিকবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ঠিকা প্রজার নাম ট্রান্সফার বা আইনি উত্তরাধিকার পাওয়ার আবেদন জানিয়ে ফোন এসেছে। মেয়র তাঁদের জানিয়েছিলেন, বিশেষ কারণে এই নাম ট্রান্সফারের বিষয়টি আটকে রয়েছে। তার জন্য নবান্নে তিনি তদ্বির করবেন। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা নতুন করে ঠিকা প্রজার উত্তরাধিকার স্বত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতার ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের ঠিকা প্রজারা আবেদন করতে পারবেন। যেসব ঠিকা প্রজা ইতিপূর্বে ‘ফর্ম এ’ জমা দিতে পারেননি, কেবলমাত্র তাঁরাই আগামী ৬ মাস এই ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন এবং জমা দিতে পারবেন। ছুটির দিন বাদে যে কোনও দিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত ১ থেকে ১০ নম্বর বরো অফিসে ফর্ম মিলবে। মেয়র জানিয়েছেন, এবার থেকে শহরের বিভিন্ন বস্তি (উত্তরণ) ঠিকা জমি হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে কোনও প্রোমোটার ইচ্ছে করলেই জমিতে বসবাসকারী মানুষকে উচ্ছেদ করতে পারবেন না। তবে কিছু শর্ত রয়েছে। সমস্ত জমিই যে ঠিকার আওতাভুক্ত হয়ে যাবে, তেমন নয়। শহরে ৩০৭৯টি বস্তি রয়েছে। ১ থেকে ১০ নম্বর বরোর প্রায় ২৭০০ বস্তির জমি ঠিকার ধরা হবে। কোনও বস্তির জমি যদি ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়, তাহলে নির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে তা ঠিকার আওতার বাইরে রাখা যাবে। 

    পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ বস্তিতেই ঠিকা জমির চরিত্র রয়েছে। এক্ষেত্রে কাগজপত্র খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। পূর্বপুরুষ মারা যাওয়ার পর অনেকেই সেই জমির উত্তরাধিকার স্বত্ব পাচ্ছিলেন না। নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছিল না। নাগরিকরা সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। তাঁরা পুরনো বাড়ি সংস্কারের কোনও কাজ করাতে পারছিলেন না। এবার সেই গেরো কেটে যাওয়ায় বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী পুরসভা। 
  • Link to this news (বর্তমান)