নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: আরামবাগ মহকুমার প্রতিটি ব্লক থেকে সংগৃহীত প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি হবে রাস্তা। এজন্য খানাকুল-১ ও গোঘাট-২ ব্লকে প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে প্লাস্টিক গুঁড়ো করে রাস্তা তৈরির জন্য তা পূর্ত দপ্তরকে হস্তান্তর করা হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এই প্রকল্পে যুক্ত করা হচ্ছে। হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) অনুজপ্রতাপ সিং বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহার হবে। আর পচনশীল বর্জ্য থেকে হবে জৈব সার। জেলার প্রতিটি ব্লককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে পাণ্ডুয়া ব্লকে প্লাস্টিক বর্জ্য রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহার হয়েছে। গোঘাট-২ ব্লকের কামারপুকুর পঞ্চায়েতের সাতবেড়িয়ায় প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্টের সিংহভাগ কাজ হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি প্রকল্প চালু করতে প্রশাসন তৎপর। আরামবাগ, গোঘাট ১ ও ২ ব্লকের সংগৃহীত প্লাস্টিক বর্জ্য ওই প্ল্যান্টে প্রক্রিয়াকরণের পর রাস্তা তৈরিতে ব্যবহার হবে। এছাড়া, পুরশুড়া, খানাকুল ১ ও ২ ব্লকের জন্যও একটি প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সেটির প্ল্যান্ট খানাকুল-১ ব্লকে গড়ে তোলা হবে।
গোঘাট-২ এর যুগ্ম বিডিও কুন্তল মণ্ডল বলেন, প্রাথমিকভাবে বাড়িতে ও বাজারে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে রাস্তা তৈরি হলে তা যথেষ্ট টেঁকসই হবে। সেইসঙ্গে প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনাও সফল হবে। প্ল্যান্টে অত্যাধুনিক যন্ত্র বসে গিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সিঙ্গুরে গিয়ে সেই যন্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
পরিবেশ সুরক্ষায় জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। সেজন্য আরামবাগ মহকুমায় প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গড়া হচ্ছে। আবর্জনা সংগ্রহের জন্য পঞ্চায়েত পিছু তিনটি করে ই-কার্ট দেওয়া হয়েছে। ওই সংগৃহীত আবর্জনা থেকে প্লাস্টিক পৃথকীকরণ করে তা প্ল্যান্টে পাঠানো হবে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পের জন ১০-১২লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়ে ইতিমধ্যে প্রশাসন ব্লকে ব্লকে র্যালি শুরু করেছে।