নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিক্ষাদপ্তর বৃহস্পতিবার বেশি রাতে নিয়োগ বিধির গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। তবে, প্রায় ভোর ৩টে নাগাদ সেই বিজ্ঞপ্তি কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যায়। দেখা গিয়েছে, নবম-দশমের জন্য ২৩ হাজার ২১২টি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ১২ হাজার ৫১৪টি শূন্যপদ বরাদ্দ হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশনে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর, মাস্টার ডিগ্রি এবং বিএড থাকলে, বয়স ২১ বছর থেকে ৪০ বছর বয়সি যে কেউ (আদালতে দোষী বলে চিহ্নিতরা ছাড়া) এই চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন। তবে, ২০১৬ এসএলএসটি’র চাকরিহারাদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বয়সের ছাড় থাকছে। অভিজ্ঞতার নিরিখে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর দেওয়াও হবে কর্মরতদের।
মাধ্যমিকে সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে ভৌতবিজ্ঞানে (৩,৮৫৯টি)। আর উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে (১,৩৭৩টি)। তবে, উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এই স্তরে এআই, ডেটা সায়েন্স, কম্পিউটার নির্ভর বা অন্যান্য বহু নয়া বিষয় চালু হয়েছে। তবে, সেগুলির জন্য কোনও শূন্যপদ নেই। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় বছর দশেক ধরে চলে সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিষয়টি। এই বিষয়েও কোনও নতুন শূন্যপদ নেই। স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা বিষয়টি এখন যেকোনও শাখার ছাত্রছাত্রীরাই নিতে পারে। এই প্রথম সেখানে নিয়োগ হল। তবে, শূন্যপদ মাত্র ১৬টি। সংসদ চাইছিল, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগ না করে শুধুমাত্র কম্পিউটার সায়েন্সের জন্য শিক্ষক নিতে। কারণ তাঁরাই কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের ক্লাস নিতে পারেন। উল্টোটা কঠিন। বাস্তবে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের জন্যও শূন্যপদ ঘোষণা করা হয়েছে। সংসদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা দপ্তরের তরফে করা হয়নি। ১৬ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। তবে, এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের জন্যও অর্ধনগ্ন হয়ে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেন চাকরিহারারা। শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরুর কথা থাকলেও পুলিসি সক্রিয়তার জেরে তা সম্ভব হয়নি। অনেকেই চলে আসেন ডোরিনা ক্রসিংয়ে। সেখানের পুলিস আন্দোলনের নেতাসহ অন্যান্যদের আটক করে। ধর্মতলায় বাধা পাওয়ায় বিকাশ ভবনের সামনে খালি গায়ে চলে আসেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিস। বিধাননগর পুলিসের ডিসি অনীশ সরকার বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ মেনেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দেওয়া হয়নি। শুধু খালি গায়ে যাঁরা বিকাশ ভবনের সামনে এগিয়ে এসেছিলেন, তাঁদেরই সরানো হয়েছে।’ আন্দোলনকারী শিক্ষকরা প্রশাসনের তৈরি ছাউনিতে উঠে গিয়েছেন।