টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত ত্রিপুরা, জলমগ্ন জাতীয় সড়ক, বজ্রপাতে মৃত্যু হাতির...
আজকাল | ৩১ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত দু’দিনের টানা বর্ষণে ত্রিপুরার একাধিক জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় সড়কের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ক্ষতি, কিছু জায়গায় চলছে মেরামতের কাজ। সমস্যার মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষও। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা টেলিফোনে কথা বলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গড়করি-র সঙ্গে। জাতীয় সড়ক দ্রুত সংস্কার ও নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে অনুরোধ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।
পশ্চিম ত্রিপুরার জিরানিয়া এলাকায় বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দু’বছর বয়সী এক শিশুর। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ১০৬টি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পশ্চিম ত্রিপুরা ও খোয়াই জেলায় খোলা হয়েছে চারটি ত্রাণ শিবির। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৫৭টি পরিবারের ২০৭ জন মানুষ। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় গাছ ও বিদ্যুৎ খুঁটি পড়ে যান চলাচল ও বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটেছে। টি.এস.আর, বনদপ্তর, এস.ডি.আর.এফ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের যৌথ উদ্যোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, নজর রাখা হচ্ছে নদীগুলির জলস্তরের ওপরেও।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার উত্তর ত্রিপুরা ও ঊনকোটি জেলায় লাল সতর্কতা এবং অন্যান্য জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২৮ মে থেকে সমস্ত জেলাশাসকদের ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এন.ডি.আর.এফ এবং এস.ডি.আর.এফ দল প্রস্তুত রয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে খবর, খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে একটি প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা হাতির। পশু চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করে বজ্রপাতকেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে নিশ্চিত করেছেন। পরে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে হাতিটিকে জঙ্গলে সমাধিস্থ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জলমগ্ন এলাকাগুলিতে নৌকা নিয়ে টহল ও উদ্ধার কাজ চলছে।