• মাছ ধরার ‘ব্যান পিরিয়ড’! জামাইয়ের মুখে হাসি ফোটাতে 'বাসি' ইলিশই ভরসা...
    ২৪ ঘন্টা | ৩১ মে ২০২৫
  • কিরণ মান্না: সমুদ্রে চলছে মাছ ধরার ‘ব্যান পিরিয়ড’। টাটকা ইলিশের (Hilsa) জোগান নেই বাজারে। আবার  বাংলাদেশ থেকেও পদ্মার ইলিশ (ilish) এবার আমদানির খবর নেই।  এমন সময়ই  পড়েছে জামাইষষ্ঠী। জামাইয়ের পাতে তাই এবার পড়বে হিমঘরের ইলিশ। অৰ্থাৎ বাসি ইলিশেই জামাইদের মুখে হাসি ফোটাবেন শ্বাশুড়ি মায়েরা।

    ১৫ এপ্রিল থেকে চলছে সমুদ্রে মাছ ধরার ব্যান পিরিয়ড। তা শেষ হবে আগামী ১৪ জুন। এর ফলে দিঘা উপকূল এলাকার মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে যেতে পারেননি সমুদ্রে। দিঘা-সহ সংশ্লিষ্ট উপকূলে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রলারগুলি। স্বাভাবিকভাবেই বাজারে আসেনি টাটকা ইলিশও।

    গত বছর জামাইষষ্ঠীতে গৃহস্থের ইলিশের চাহিদা পূরণ করেছিলেন ওড়িশার মৎস্যজীবীরা। কিন্তু এ বছর ওড়িশা সরকার ব্যান পিরিয়ডে মাছ ধরার ব্যাপারে বেশ কড়া মনোভাব দেখানোয় সেখানের ইলিশেও বাড়ন্ত। তাই দিঘা, শঙ্করপুর, পেটুয়াঘাট ও ডায়মন্ডহারবারের কোল্ড স্টোরেজের ইলিশে সন্তুষ্ট থাকতে হবে শাশুড়ি-জামাইদের।

    মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, জামাইষষ্ঠীর জন্য দিঘা়, শঙ্করপুর, পেটুয়াঘাটের হিমঘরগুলিতে ইলিশ মাছ মজুত রাখা হয়েছিল। সেগুলিই কাঁথি মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় এবং কলকাতা, হাওড়া, হলদিয়াতে পাঠানো হয়েছে। হিম ঘরের এই সমস্ত ইলিশ চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বাজারে। ৮০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ৯০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

    গৃহস্থরা বিলক্ষণ জানেন বাসি ইলিশের কথা। তবুও দাম যাই হোক না, জামাইকে 'তুষ্ঠ' করতে হাসিমুখেই চলছে গৃহস্থদের কেনাকাটা। ইলিশ ভাজা, ইলিশ ভাপা, ইলিশ সরষে – এমন ইলিশের নানা পদের কথায় ভোজন রসিক বাঙালিদের কার না, জিভে জল আসে বলুন ? হোক না বাসি। তবু ইলিশ বলে কথা। শাশুড়ি জামাই উভয়ের মুখে হাসিতো ফুটবে। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)