• কয়েক মিনিটের তুমুল ধস্তাধস্তি, চা শ্রমিকের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানল চিতাবাঘ!...
    আজকাল | ০১ জুন ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিতাবাঘের সঙ্গে চা শ্রমিকের তুমুল ধস্তাধস্তি। এমন ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার ভাতখাওয়া চা বাগানে। অবশেষে লড়াইয়ে হার মেনে চা শ্রমিককে ছেড়ে পালালো চিতাবাঘ। জখম হলেও প্রাণে বেঁচে গেছেন ওই চা শ্রমিক। 

    জানা গেছে, এদিন বাগানের শ্রমিক দুর্গা মুণ্ডা ভাটপাড়া চা বাগানের এগারো নম্বর সেকশনে কাজ করছিলেন। সেই সময় একটি চিতাবাঘ তাঁর উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং বুকে থাবা বসায়। আচমকা চিতাবাঘের থাবায় হতভম্ব হয়ে যান দুর্গা মুণ্ডা। মনোবল না হারিয়ে, প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেন। এরপরেই চিতাবাঘের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু করেন দুর্গা। প্রায় মিনিট খানেকের বেশি সময় ধরে দু'জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি চলে। অবশেষে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চিতাবাঘটি দুর্গা'কে ছেড়ে পালিয়ে যায়। 

    দুর্গা মুণ্ডা'র চিৎকার শুনে অন্যান্য শ্রমিকরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। তবে আশঙ্কাজনক নন। 

    ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানে প্রায়ই চিতা বাঘের হানার কথা শোনা যায়। মাঝে মধ্যেই প্রজননের জন্য চিতাবাঘ জঙ্গল ছেড়ে চা বাগানে চলে আসে। শিশুর জন্ম দিতে চা বাগানের মনোরম পরিবেশই পছন্দ চিতাবাঘের। সেই কারণে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন চা বাগানে প্রায়ই খাঁচা পাতে বনদপ্তর। তাতে একাধিকবার চিতাবাঘ বন্দিও করা হয়েছে। 

    বর্ষার সময়ে বন্যপ্রাণদের প্রজননের মোক্ষম সময়। সেই কারণে প্রতিবছর ১৫ জুন থেকে ৩ মাসের জন্য জঙ্গলে পর্যটক ও সাধারণ নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বনদপ্তর। এদিন তার দুই সপ্তাহ আগেই ভাটপাড়া চা বাগানে শ্রমিকের ওপর হামলা করল চিতাবাঘ। যদিও বনদপ্তরের তরফে জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলিতে নজরদারি করা হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় আরও নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)