• ভুয়ো নথি তৈরি করে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমির মালিকানা বদলের অভিযোগ
    বর্তমান | ০১ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: মালদহের গাজোলে বাদেময়না সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমির ভুয়ো নথি তৈরি করে মালিকানা বদলের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে গুরুতর ওই অভিযোগ জানিয়েছেন। শুক্রবার ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় থানায় এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানান তাঁরা। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় শোরগোল পড়েছে। কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটল সেই প্রশ্ন উঠেছে।

    ব্লকের আলালে চম্পাদিঘি গ্রামে এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি রয়েছে। প্রায় ১২ বছর আগে গ্রামের এক মহিলা তাঁর স্বামীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য জমি দান করেন। গ্রামবাসীদের দাবি, সম্প্রতি এক ব্যক্তি ওই জমি দখলের জন্য ভুয়ো কাগজ তৈরি করে মালিকানা পরিবর্তন করেছে। গ্রামবাসীদের কথায়, আহরা, কালীনগর, দেবীদহ, লক্ষ্মীনারায়ণপুর সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ওই কেন্দ্রে চিকিৎসার সুবিধা পেয়ে আসছেন। এখন ওই জমি বেআইনিভাবে অন্যহাতে চলে গেলে এলাকার চিকিত্সা পরিষেবা লাটে উঠবে। গ্রামবাসীরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।

    গোবিন্দ টিকাদার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য একজন জমি দান করেন। পরে সেই জমি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নামে রেকর্ড হয়নি। জাল দলিল বানিয়ে এখন কেউ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমি রেকর্ড করে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আমরা দোষীর শাস্তি চাই। এই দাবি স্থানীয় ভূমিদপ্তর, ব্লক অফিস সহ বিভিন্ন মহলে জানানো হয়েছে। গ্রামের জনৈক বাসিন্দার কথায়, কে জমি হাতিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে, তার নাম আমরা জানি। প্রশাসন জানতে চাইলে যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। গাজোলের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ইনজামামুল হক বলেন, একজন জমি রেকর্ড করে নিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু এটা হতে পারে না। কাগজপত্র নিয়ে অভিযোগকারীদের আইনের দ্বারস্থ হতে বলেছি। প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। 

    গাজোলের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমি যে দান করে, সে রেকর্ড করায়নি। তাঁর সন্তানরা সম্ভবত ওই জমি দান কিংবা বিক্রি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নামে কোনও রেকর্ড ছিল না, সেজন্যই বুঝতে পারিনি। ভুল করে একজনের নামে রেকর্ড করা হয়েছিল। ভূমি দপ্তরে গিয়ে রেকর্ডটা কেটে দিয়েছি। ভুল হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)