• উত্তর সিকিমে বিপর্যয়, আটকে বহু পর্যটক
    বর্তমান | ০১ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বিপর্যয়ের জেরে উত্তর সিকিমে আটকে পড়লেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলার বলে জানা গিয়েছে। লাচেনে আটকে ১১৫ জন পর্যটক। লাচুংয়ে আটকে রয়েছেন ১৩৫০ জন। হোটেলে বন্দি রয়েছেন তাঁরা। বিশাল ধসের জেরে লাচেনের রাস্তা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। একাধিক জায়গায় ধসের জেরে অবরুদ্ধ লাচুংয়ের রাস্তাও। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি চলছে সেখানে। চুংথাং থেকে ফিদাং ভায়া সাংকালান রোডও ধসে অবরুদ্ধ। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের গ্যাংটকে ফেরানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে সিকিম প্রশাসন। এদিকে গতকাল, শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই উত্তর সিকিমে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত। মিলছে না পানীয় জল। বিপর্যস্ত মোবাইল পরিষেবা। ফলে চরম অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন সেখানে আটকে পড়া পর্যটকরা। বাড়ির লোকেরাও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে।এদিকে মুন্সিথাংয়ের কাছে খাদে গাড়ি পড়ে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ আট পর্যটককে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। মঙ্গনের জেলাশাসক অনন্ত জৈন নিজে উদ্ধারকার্য তদারকি করছেন। কিন্তু প্রবল বৃষ্টি ও তিস্তার জলস্তর মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এদিন অনেক চেষ্টা করেও উদ্ধারকার্য চালানো যায়নি। তবে সিকিম প্রশাসনের তরফে প্রথমে জানানো হয়েছিল, বাংলা এবং ওড়িশার পর্যটকরা নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার সিকিম প্রশাসন জানিয়েছে, নিখোঁজ পর্যটকদের মধ্যে চারজন ওড়িশার। দু’জন উত্তরপ্রদেশের এবং দু’জন ত্রিপুরার। গ্যাংটক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর জখম দুই পর্যটকও ওড়িশার। নিখোঁজ পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির ওড়িশার মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদিকা  ইতশ্রী নায়েক জেনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গনের পুলিস সুপার সোনম ডিচু ভুটিয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত নটা নাগাদ পর্যটকদের দুটি গাড়ি একইসঙ্গে যাচ্ছিল। প্রথম গাড়িটি বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয় গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
  • Link to this news (বর্তমান)