গোপালপুরে এসে কাজের মান দেখলেন সেচপ্রতিমন্ত্রী সাবিনা
বর্তমান | ০১ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকের গোপালপুরে ভাঙন রোধে কাজের মান নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠায় শনিবার পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কাজের মান খতিয়ে দেখতে সেচদপ্তরের আধিকারিক ও এলাকাবাসীদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। বর্ষার আগে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। তবে কাজের মান নিয়ে কোনও আপস যাতে না হয়, সেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেচপ্রতিমন্ত্রী।
মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত গোপালপুরের বিভিন্ন এলাকা গতবছর ব্যাপক গঙ্গা ভাঙনের সম্মুখীন হয়েছিল। কয়েকশো বিঘা জমি সহ বহু বাড়ি তলিয়েছে গঙ্গা নদীতে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কামালতিপুর ও ঈশ্বরটোলা গ্রাম। যার ফলে বহু পরিবার, ঘরবাড়ি হারিয়ে বাঁধের ধারে বসবাসে বাধ্য হয়েছিলেন। সেসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাবিনা ইয়াসমিন সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তৎক্ষণাৎ মুখ্যমন্ত্রী ফোন মারফত এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করেছিলেন ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধান করবেন। সেই অনুযায়ী সেচদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৪কোটি টাকায় ১৭০০মিটার ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাজ বন্ধ করেদেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রর হস্তক্ষেপে আবার শুরু হয় কাজ। তারপরও কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। তাই কাজের মান নিজেই খতিয়ে দেখতে আসরে নামলেন সেচপ্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এদিন সকালে লঞ্চে করে গোপালপুরের কামালতিপুরে এসে উপস্থিত হন সেচ প্রতিমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মালদহ সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, বিডিও অনুপ চক্রবর্তী, মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল সহ অন্য আধিকারিকরা। প্রথমে কাজের ব্যবহৃত বস্তা ও সামগ্রী খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। কথা বলেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে । কোথাও গাফিলতি রয়েছে কী না, খোঁজ নেন। সেচদপ্তরের এগজিকিউিটিভ ইঞ্জিনিয়ার কাজের নকশা তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রীর সামনে। কাজ কতদিনে শেষ হবে সেই বিষয়টিও খোঁজ নেন। সবশেষে কাজ নিয়ে একপ্রকার খুশি প্রতিমন্ত্রী। সাবিনা বলেন, এলাকার বিরোধীরা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য তুলে কাজ নিয়ে রাজ্য সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ভাঙন রোধে কাজ হচ্ছে। এলাকাবাসীরাও কাজ নিয়ে খুশি। তবে বর্ষার খামখেয়ালীপনায় কাজে কিছুটা বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সেচদপ্তরকে মূল বর্ষা শুরুর আগেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি কাজ নিয়ে কোন আপোস যেন না হয়, নিম্নমানের কাজ কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে মালদহ জেলা সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গোপালপুরে ভাঙন রোধের কাজ শেষ হবে। তবে বর্ষার কারণে প্রতিমন্ত্রী কাজ আগে শেষ করার কথা বলেছেন। আমরা দেখছি কতদূর কি করা যায়। নিজস্ব চিত্র