• রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে অবৈধ কাফে, নেপথ্যে জাল আধারকার্ড চক্র
    বর্তমান | ০১ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে অবৈধ ‘সাইবার কাফে’! তাতেই মিলল ভূরিভূরি জাল আধারকার্ড! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করার আটদিন পর শুক্রবার সংশ্লিষ্ট কোয়ার্টারে হানা দিয়ে সংশ্লিষ্ট চক্রের পর্দাফাঁস করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিডি)। তারা দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, ডিটিপি ও ফটোশপের মাধ্যমে জাল কার্ড তৈরি করত ধৃতরা। তারা সম্ভবত ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেগুলি বাংলাদেশিদের কাছে বিক্রি করত। 

    শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের এক অফিসার বলেন, সোর্স মারফত খবর পেয়ে ওই চক্রটিকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। দু’টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ, বেশকিছু জাল আধারকার্ড বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আর কেউ জড়িত কি না, জানার চেষ্টা চলছে। 

    এক সপ্তাহ আগে শিলিগুড়ি সফরে এসে চিকেনস নেকের নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে পুলিসকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন। ওই ঘটনার পর পুলিস জাল আধার চক্রের বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসে। 

    পুলিস ও গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিভিন্ন সময় ধৃত বাংলাদেশিদের কাছ থেকে জাল আধারকার্ড ও ভোটারকার্ড উদ্ধার করা হয়। সেইসব ঘটনা এবং সোর্সের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে ওই গ্যাং সম্পর্কে ক্লু মেলে। টানা কয়েকদিন ধরে তদন্ত চালানোর পর শুক্রবার বিকেলে টিকিয়াপাড়ায় রেলের পরিত্যক্ত ওই কোয়ার্টারে হানা দেওয়া হয়। সেখান থেকেই সুশীল রায় ও ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে সাতটি জাল আধারকার্ড ও ২০০’টির মতো জাল কার্ড তৈরির ফর্ম্যাট উদ্ধার করা হয়েছে। 

    শনিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ধৃতদের তিনদিনের জন্য পুলিস হেফাজতে নিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, চক্রের মাস্টার মাইন্ড ইন্দ্রজিৎ। সেই কাফে খুলেছিল। ল্যাপটপ ও মোবাইলের সহযোগিতায় ডিটিপি ও ফটোশপের মাধ্যমে জাল কার্ড প্রস্তুত করত। তার এজেন্ট ছিল সুশীল।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)