নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও কলকাতা: বর্ষার শুরুতেই ফুঁসছে তিস্তা ও জলঢাকা নদী। শনিবার জলপাইগুড়িতে সংশ্লিষ্ট দু’টি নদীর অসংরক্ষিত এলাকার হলুদ সঙ্কেত জারি করেছে সেচদপ্তর। একইসঙ্গে শিলিগুড়িতে মহানন্দা, বালাসন সহ বিভিন্ন নদীর জলস্তরও সামান্য বেড়েছে। পাহাড়ে বৃষ্টি এবং বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে খবর। এতে নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা রীতিমতো আতঙ্কিত।
এদিকে, এদিন বিধাননগরে সেচ জলসম্পদ ভবনে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি দপ্তরের অত্যাধুনিক কন্ট্রোলরুম থেকে প্রতিটি জেলার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। মন্ত্রী বলেন, সকালেই ১ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়তে হয়েছে। বিকেলে যা ৮০ হাজার কিউসেকে নেমে এসেছে। আমরা আবহাওয়া দপ্তর এবং সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের (সিডব্লুসি) তথ্য বিশ্লেষণ করছি। মুখ্যমন্ত্রী সেচদপ্তরকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। ডিভিসি, ডিভিআরআরসি, সিডব্লুসি, ফরাক্কা ব্যারেজ অথরিটি, জেলাশাসক, পুলিস সুপারদের থেকে বিডিও পর্যন্ত সকলকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছি। সেই কাজে যেন ত্রুটি না থাকে। সেচদপ্তরের ক্যুইক রেসপন্স টিমও তৈরি আছে।
আবহাওয়া দপ্তরের ঘোষণা অনুসারে শুক্রবারই মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে উত্তরবঙ্গে। ওই দিনই সিকিম ও ভুটান পাহাড় ও সমতলে বিক্ষিপ্তভাবে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় সুখিয়াপোখরিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ৩৬৫ মিলিমিটার। এরবাইরে সেভকে ২২৬.৬, চম্পাসারিতে ৯৬.২, শিলিগুড়িতে ৬২, কালিম্পংয়ের ঝালংয়ে ৪৩.২, রঙ্গিতে ৩৭.২, জলপাইগুড়ির আইভিল চা বাগানে ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এরজেরেই জলপাইগুড়ির তিস্তা ফুঁসছে। সেচদপ্তর সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ির দোমোহনি থেকে মেখলিগঞ্জের বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় তিস্তা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। ভুটানে বৃষ্টির জেরে জলঢাকা নদীও ফুলেফেঁপে উঠেছে। জলপাইগুড়ির ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে মাথাভাঙা পর্যন্ত জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। এর জেরে সংশ্লিষ্ট দু’টি নদীর তীরবর্তী ও চর সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কিত। ধূপগুড়িতে ডুডুয়া এবং নাগরাকাটায় ডায়না নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছে সেচদপ্তর।
নদীর জল বৃদ্ধিতে শিলিগুড়ি শহরের মোহন বাগান লেনে মহানন্দা নদীর পাড় মেরামতি, মাটিগাড়ায় বালাসনে সেতু তৈরির কাজ ব্যাহত হয়। বেহাল নিকাশির জেরে মাল্লাগুড়ির দৈনিক নিয়ন্ত্রিত বাজার, চম্পাসারি, মাটিগাড়ার পরিবহণনগর প্রভৃতি এলাকায় বৃষ্টির জল দাঁড়িয়েছে। কার্শিয়াং পাহাড়ের ধসের জেরে তিনটি রাস্তা