• নাদনঘাটে ফের নদী ভাঙন, ঘুম ছুটেছে নসরতপুরের বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ০১ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালনা: নাদনঘাট থানার নসরতপুর পঞ্চায়েতের কিশোরীগঞ্জ এলাকায় ফের ভাগীরথী নদীতে ভাঙন শুরু হতেই ঘুম ছুটেছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। নদী গ্রাস করছে একের পর এক চাষের জমি। আর কিছুটা এগলেই ভাঙনের মধ্যে বসতভিটে হারাবেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।  নাদনঘাট থানার পূর্বস্থলী-১ ব্লকের নসরৎপুর পঞ্চায়েতের কিশোরীগঞ্জ গ্রামটি ভাগীরথী নদীর অপর প্রান্তে অবস্থিত। নদীয়ার সঙ্গে স্থলপথে যুক্ত হলেও গ্রামটির স্কুল হাটবাজার সবই ভাগীরথী নদী পেরিয়ে সমুদ্রগড় এলাকায়। গ্রামটির প্রধান জীবিকা কৃষি। কৃষিজ পণ্য বিপণনের জন্য নদী পেরিয়ে নিমতলা কিষান মান্ডিতে আনতে হয়। ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী গ্রামটি বহু বছর ধরেই নদী ভাঙনের কবলে। সম্প্রতি নদী ভাঙনে এক প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে গেলেও নদীর ভাঙন রোধে উদ্যোগ শুরু হয়নি। ইতিমধ্যে শুক্রবার থেকে ফের ভাঙনের গতি বাড়ায় চিন্তায় নদীপাড়ের বাসিন্দারা। তাঁরা চান দ্রুত নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। নাহলে ব্যাপক অংশের জমি ও বসত ভিটে নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নসরতপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মোবিন হোসেন মণ্ডল বলেন, কিশোরীগঞ্জের ভাগীরথী ভাঙনে অতীতে বহু জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। সম্প্রতি নদীর জল বাড়ায় ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার থেকে ভাঙন অনেকটাই বেশি হচ্ছে। এই বিষয়ে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতিকে জানানো হয়েছে। বিডিও সঞ্জয় সেনাপতি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মহকুমা শাসক শুভম আগরওয়াল বলেন, প্রায় আড়াই কোটি টাকার একটি নদীবাঁধ প্রকল্পের স্কিম করে পাঠানো হয়েছে। এখনও সবুজ সংকেত আসেনি। জেলায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। শীঘ্রই স্থানীয় ভাবে কিছু করা যায় কি না, সেটা দেখা হচ্ছে।  নাদনঘাট থানার কিশোরীগঞ্জে ভাগীরথী নদীর ভাঙনে আতঙ্কিত নদী পাড়ের বাসিন্দারা। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)