• কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের সভা
    বর্তমান | ০১ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কান্দি: দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার। সভা শুরু ও শেষ একই সময়ে। একদিকে চলছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর কর্মিসভা। আর অন্যদিকে চলছে তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান ও চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সংবর্ধনা সভা। শনিবার বিকেলে খড়গ্রামের ওই দু’টি সভাতেই কর্মীদের হাজিরা ভালোই ছিল। কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সভা দু’টি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। 

    খড়গ্রাম ব্লক তৃণমূলের তরফে এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ খড়গ্রাম থানার নগর কলেজে তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা জানানো হয়। ওই কলেজের একটি হলঘরে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। হলে সীমিত আসন থাকায় অধিকাংশ কর্মী বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। আর সেখান থেকে কিছুটা দূরেই ফরাক্কা হলদিয়া বাদশাহি সড়কের পাশে একই সময় শুরু হয় কংগ্রেসের কর্মিসভা। দু’টি সভাতেই বক্তারা আসন্ন ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়েই বক্তব্য রাখেন। 

    তৃণমূলের সভায় খলিলুর সাহেব অসুস্থ থাকায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি আগামী বিধানসভায় একজোট হয়ে মাটি কামড়ে লড়াই করার আহ্বান জানান। এদিনের সভায় খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির এক কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলের যোগ দেন। খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান অব্যাহত। 

    কংগ্রেসের সভায় অধীরবাবু ওয়াকফ আইন নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, এই আইন সম্পর্কে তৃণমূল মানুষকে ভুল ব্যাখা দিচ্ছে। এরাজ্যে মেরুকরণের রাজনীতি করার চক্রান্ত করছে শাসকদল। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে খড়গ্রামে নতুন সূর্যোদয় হবে। খড়গ্রামে ফের কংগ্রেস প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। তাই কর্মীদের উদ্দেশে অধীরবাবু এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন।

    দু’টি সভা ঘিরে যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয়, সেই জন্য পুলিস সক্রিয় ছিল। পুলিস দুই দলের কর্মীদের উপর কড়া নজরদারি রেখেছিল। এক দলের কর্মীকে অন্যদিকে যেতে বাধা দেওয়া ছাড়াও কেউ যাতে কোনও কটূক্তি করতে না পারে, সেই দিকে সর্তক ছিল পুলিস। সভা চলাকালীন হাজির ছিলেন কান্দির এসডিপিও শাশ্রেক আম্বারদার, খড়গ্রাম ওসি শিবনাথ মণ্ডল প্রমুখ। দু’টি সভাই শান্তিপূর্ণভাজবে শেষ হয়েছে বলে এসডিপিও জানিয়েছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)