• অভয়া ইস্যুতে একজোট, মেডিক্যালের ভোটে বিভাজিত বাম ছাত্র সংগঠনগুলি
    বর্তমান | ০১ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী সোমবার ভোটের মাধ্যমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র কাউন্সিলের প্রতিনিধি বেছে নেওয়া হবে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (এনএমসি) পরিভাষায়, ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া যে কোনও মেডিক্যাল কলেজে অস্থায়ীভাবে ছাত্রছাত্রী সংক্রান্ত কাজকর্ম পরিচালনায় এই ধরনের ‘সিলেক্টেড স্টুডেন্টস কাউন্সিল’ গঠন করা যেতে পারে। সেই কাউন্সিল গঠনের জন্য ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে মেডিক্যাল কলেজ চত্বর এখন জমজমাট। এখানে লড়াই মূলত বামদলগুলির মধ্যেই। মেডিক্যাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনে (এমসিডিএসএ) রয়েছে একাধিক বাম ও অতিবাম দলগুলির প্রতিনিধি। অন্যদিকে রয়েছে আরেকটি বাম ছাত্র সংগঠন ডিএসও। 

    কিছুদিন আগে অভয়া আন্দোলনের সময় সবাই এক ছাদের তলায় এসেছিল। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে বামেদের মধ্যেই দেখা গেল বিভাজন। এই আবহে কলেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির উপর ভোট সংক্রান্ত পোস্টার পড়ায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এখানকার রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন ও মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজার নজরে আসায় তিনি অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ডাঃ বিশ্বাস কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকেন। নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়। সেই সঙ্গে পুলিসকে পোস্টার কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার জেরে কাউন্সিল গঠনের নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যদিও ছাত্রছাত্রীরা অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেন, পুলিসি তদন্ত চলুক। তার জন্য কাউন্সিল গঠনের নির্বাচন যেন পিছিয়ে না যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সোমবার ভোট হচ্ছে। অধ্যক্ষ ডাঃ বিশ্বাস বলেন, পোস্টার কাণ্ডে কারা জড়িত, খুঁজে বার করতে বলা হয়েছে পুলিসকে।   

    প্রসঙ্গত, ২২ মে কলেজ কর্তৃপক্ষ নোটিস জারি করে ৭ শিক্ষককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটিই কাউন্সিল গঠন করবে। কয়েকদিন আগে অভয়া আন্দোলন, এমনকী সম্প্রতি পোস্টিং বিতর্কেও সব মতের চিকিত্সকদের একসঙ্গে প্রতিবাদে দেখা গিয়েছে। তাহলে প্রশ্ন যখন ক্ষমতার, তখনই কি ‘ঐক্য’ শেষ? যদিও ডিএসও আগেও একা লড়েছে। কিন্তু অভয়া আন্দোলনের পরও পরিস্থিতি যে বদলায়নি, তা স্পষ্ট হল। ডিএসও নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজনৈতিক মতাদর্শগত বিরোধ তো আছেই। বাইরের একাধিক বিষয়ে একমত হলেও কলেজের অভ্যন্তরীণ বহু বিষয়ে মতানৈক্য তো আছেই। ৪টি ব্যাচে ৫ জন করে মোট ২০জন নির্বাচিত হবেন। ডিএসও ৪ জন প্রার্থী দিয়েছে। কিছু জায়গায় তাদের সমর্থনে প্রার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে, এমসিডিএসএ’র হয়ে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই সহ একাধিক অতিবাম সংগঠন প্রার্থী দিয়েছে। তবে কোনও ছাত্র সংগঠনই তাদের নামে মনোনয়ন জমা দেয়নি। 
  • Link to this news (বর্তমান)