ভারী বৃষ্টির জেরে একেবারে বিপর্যস্ত সিকিম। প্রবল বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তিস্তা। ক্রমশ তিস্তার জলস্তর বাড়ছে। জলস্তর বৃদ্ধির কারণে জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন। সেখানে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে ৭৮টি পরিবার। প্রায় প্রত্যেকের বাড়ির ভিতরেই জল ঢুকেছে।
গত দু’সপ্তাহ ধরে চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন। প্রাণ বাঁচাতে এলাকার অনেক বাসিন্দাই বাড়ি ঘর ছেড়ে বাঁধের উপরে আশ্রয় নিচ্ছেন। প্রশাসনের দেওয়া ত্রাণই এখন ভরসা। এর মধ্যে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেন ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায়।
শনিবার নৌকায় চেপে তিনি সবার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। এলাকা পরির্দশনের পর ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায় বলেন, ‘এই জায়গাটি তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকা। মানুষজনকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে আসার জন্য বলা হয়েছে। বাঁধের উপরে অস্থায়ী ভাবে বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা প্রয়োজন মতো সহযোগিতা করছি।’ এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা সভাপতিকে তাঁদের সমস্যার কথা জানান।
ব্লক প্রসাশন জানিয়েছে, এলাকাবাসীদের নিরাপদ স্থানে রাখার জন্য সেন্টারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তাঁদের সেখানে পাঠানো হবে। সবে বর্ষা শুরু হয়েছে। তার আগেই বন্যা পরিস্থিতি। এই অবস্থায় রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। তিস্তার জল ঠেকাতে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।