ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া এক পুলিশ কনস্টেবলের জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। প্রায় আড়াই বছর ধরে হাজতে থাকলেও এখনই তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে না।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মী গ্রেপ্তারের সময় কলকাতার একবালপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, ২০২২ সালের ২ নভেম্বর শহরের ময়ূরভঞ্জ রোড সংলগ্ন একটি হোটেলে ৩৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার একটি ডাকাতির ঘটনায় তিনি জড়িত ছিলেন। ওই ঘটনায় আরও এক সিনিয়র কনস্টেবলকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যেই তার জামিন আবেদন খারিজ হয়েছে। দ্বিতীয় অভিযুক্ত কনস্টেবলও এবার জামিন পাননি।
শুক্রবার বিচারপতি পার্থসারথি সেনের নেতৃত্বে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে আদালত জানায়, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়ে তদন্তে স্পষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই এই মুহূর্তে তাঁকে জামিনে ছাড়া ঠিক হবে না। একইসঙ্গে আলিপুর দায়রা আদালতকে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।
আদালতের বক্তব্য, আইন রক্ষাকারীর কাছ থেকেই যখন আইনের অবমাননার অভিযোগ ওঠে, তখন তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এইভাবে নষ্ট হয়। আদালত স্পষ্ট জানায়, পুলিশ যদি চুরি বা ডাকাতির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে, তবে তা ক্ষমার অযোগ্য। জামিনে মুক্তি পেলে অভিযুক্ত আবারও একই অপরাধে যুক্ত হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
অভিযুক্ত কনস্টেবলের তরফে আদালতে জানানো হয়, তিনি শুধুমাত্র সিনিয়র কনস্টেবলের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঘটনার প্রকৃত চরিত্র সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণা ছিল না। তবু, প্রায় ৯০৯ দিন জেলে থাকার পরও হাইকোর্ট তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেনি।