• কলকাতায় পাক চরের ডেরা? দফায় দফায় টাকা ট্রান্সফার, NIA-র তদন্তে পরতে পরতে রহস্য...
    ২৪ ঘন্টা | ০১ জুন ২০২৫
  • পিয়ালি মিত্র: পাক চর(Pak Spy) সন্দেহে শনিবার দেশের মোট পনেরো জায়গায় তল্লাশি চালায় NIA। সেই তালিকায় ছিল কলকাতাও(Kolkata)। পাকচর সন্দেহে তপসিয়া(Tapsia) থেকে আটক হয় একজন। জানা যায়, তিনি পেশায় হোটেলের এক নিরাপত্তারক্ষী। নিউটাউনে(New Town) এনআইএ-র অফিসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তে পরতে পরতে রহস্য উঠে এসেছে।

    সম্প্রতি পাক-গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাটকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, মোমিনপুরে দোকান থেকে মোতিরাম জাটের অ্যাকাউন্টে জমা পরে টাকা। NIA হাতে ধৃত CRPF-র ASI মোতিরাম। গতকাল মোমিনপুর এই দোকানে তল্লাশি চালায় NIA। এই দোকান থেকে দফায় দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট জমা হয় টাকা। পহেলগাঁও হামলার আগে গত ২৫ মার্চও জমা হয় ২২ হাজার টাকা। এছাড়া ১৩৫০০ টাকা, ১৫০০০ টাকা, ৫০০০ টাকা জমা করারও হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    দোকান মালিক সোমবার তলব করেছে NIA। কার নির্দেশে বা কে তাঁর দোকান থেকে মোতিরামের অ্যাকাউন্ট জমা করতো টাকা? জানতে চান গোয়েন্দারা। পাকিস্তানের PIO-দের কথা মতো গুপ্তচরবৃত্তিতে আর্থিক সাহায্যকারী ব্যক্তির মাধ্যমে দোকান থেকে টাকা জমা হত অনুমান NIA-র। যে টাকা জমা করা হতো সেই নগদের উৎস কী? এনআইএ-র নজরে দোকানের সিসিটিভির ফুটেজও 

    আরও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের অ‍্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা এলে সন্দেহের সম্ভাবনা। সন্দেহ এড়াতে ঘুরপথে পাঠানো হতো টাকা। ছোট ছোটে অঙ্কে বিভিন্ন মানি ট্রান্সফার অ‍্যাপের মাধ্যমে মোতিরামের অ‍্যকাউন্ট জমা করা হত টাকা। পাকিস্তানি PIO সঙ্গে যুক্ত তথা ভারতে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য আর্থিক সহায়তাকারী ব্যক্তিদের মাধ্যমে জমা পড়ত মোতির অ‍্যাকাউন্টে টাকা। 

    গতকাল সেই সূত্রেই দেশের ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালায় NIA। উদ্বার হয় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বহু নথি। টাকার বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পৌঁছাত মোতিরাম।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)