বাড়ি থেকে এক বৃদ্ধ দম্পত্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের ঘটনা। ঘোলা থানার পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করছে, আত্মহত্যা করেছেন ওই দম্পতি। তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলেনি তারা। দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রতিবেশীদের। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা অবধি কিছু বলা সম্ভব নয়। রিপোর্ট এলে পরিষ্কার হওয়া যাবে খুন না আত্মহত্যা।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোদপুরের নাটাগড় মহেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দার শেখর সামন্ত এবং তাঁর স্ত্রী মনিকা সামন্ত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এলাকায় রয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে দম্পত্তির। শেখরের বয়স ৬৫ বছর। স্ত্রী মনিকার বয়স আনুমানিক ৫৭। বাড়িতে তাঁরা দুজনেই থাকতেন। মনিকাদেবীর স্নায়ুর অসুখ ছিল। নিয়মিত ওষুধ খেতেন তিনি। তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা খুনের অভিযোগ করছেন।
শেখরের ভাইপো বলেন, ‘জেঠু-জেঠিমার আর্থিক সমস্যা ছিল না। তবে জেঠিমার স্নায়ুর অসুখ ছিল। নিয়মিত ওষুধ খেতেন উনি। এ ছাড়া আর কোন সমস্যা ছিল বলে তো শুনিনি। কিন্তু যদি আত্মহত্যা করে থাকেন, কেন তাঁরা এই পথ বাছলেন, জানি না।’ এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘কেউ সম্পত্তির লোভে ওঁদের মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে, হতে পারে। পুলিশি তদন্তের দিকে চেয়ে আছি আমরা।’ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ঘোলা থানার তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কিছু নমুনা ফরেনসিক তদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।