শেষ রক্ষা হলো না। রবিবার শান্তিনিকেতনে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ‘আবাস’। ঘটনায় ক্ষুব্ধ অবনপল্লির বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বাড়ি ভাঙার জন্য পুরসভার অনুমতি নেওয়া হয়নি।
গত কয়েকমাস ধরেই ‘আবাস’ ভাঙার তোড়জোড় চলছিল। ফেব্রয়ারিতেও বাড়ি ভাঙার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় তা রুখে দিয়েছিল বোলপুর পুরসভা। ভাঙার কাজ বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাড়ির গেটে। সেই সময়ে বোলপুর পুরসভার তরফে বলা হয়েছিল, ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
রবিবার সকালে দেখা যায়, মেশিন দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা বাড়িটি। সদর দরজায় এখনও তালা ঝুলছে, তা ছোঁয়া হয়নি। কিন্তু বাড়ির পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভেঙে ফেলা হয়েছে গোটা বাড়ি।
এই বাড়িটি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত। আগেই এই বাড়ির হাতবদল হয়ে গিয়েছিল। ওই বাড়িটির জায়গায় বহুতল নির্মাণ হওয়ার কথা। সেই কারণেই এ দিন প্রোমোটাররা জেসিবি দিয়ে পুরো বাড়ি ভেঙে দেয়। যদিও প্রোমোটার সংস্থার কেউ বা বাড়িটির পুরনো মালিকদের কোনও বক্তব্য মেলেনি এই বিষয়ে।
বোলপুরের এসডিও জানিয়েছেন, এই বাড়ি ভাঙার জন্য শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অনুমতি প্রয়োজন। বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ বলেন, ‘আমি অসুস্থ, বাড়িতেই ছিলাম। আগামীকাল পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেব।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে অলকেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বাড়ি তৈরি করেছিলেন। অবনীন্দ্রনাথ এখানে বেশ কিছুদিন ছিলেনও। সেই সব স্মৃতি এখন ধূলিস্যাৎ।