বেশকিছু ওয়ার্ডে বন্ধ পানীয় জল সরবরাহ, ট্যাঙ্ক পাঠাল পুরসভা
বর্তমান | ০২ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: সিকিম বিপর্যয়ের জেরে ফের সঙ্কটে শিলিগুড়ির পানীয় জল প্রকল্প। তিস্তা নদীর জলের সঙ্গে ক্রমাগত ইনটেকওয়েলে ঢুকছে পলি। যারজেরে রবিবার শহরের সর্বত্র নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছয়নি। এনিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নাগরিকরা। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে ট্যাঙ্ক। এদিন জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ।
শিলিগুড়ি পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত অবশ্য বলেন, জলের প্লান্ট বন্ধ করা হয়নি। তিস্তা নদীর জলের সঙ্গে ক্রমাগত পলি আসায় কম পরিমাণ জল পরিস্রুত করে সরবরাহ করা হচ্ছে। এজন্য ৪৭ ওয়ার্ডের সর্বত্র জল পৌঁছয়নি। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকিমে ভারী বৃষ্টি ও ধসের জেরে শনিবার রাত থেকে এদিন ভোর পর্যন্ত পলি মিশ্রিত জল ইনটেকওয়েলে প্রবেশ করে। যারজেরে এদিন সকালে চাহিদামতো জল পরিস্রুত করে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। তাই সকালে ও বিকেলে শহরের সর্বত্র জল সরবরাহ করা যায় হয়নি।
পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, বর্তমানে শহরে পানীয় জলের দৈনিক চাহিদা প্রায় ১ লক্ষ মিলিয়ান লিটার। কিন্তু প্লান্টে বর্তমানে পরিস্রুত করা হয় দৈনিক ৫৫ মিলিয়ান লিটার জল। পলির জন্য সেই পরিমাণ জলও নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তা নিলে পলিতে প্লান্ট বিপর্যস্ত হতে পারে। তাই চাহিদার তুলনায় কম করে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। আরও এক-দু’দিন এই সমস্যা চলবে বলেই মনে হচ্ছে।
এদিন হায়দরপাড়া, হাকিমপাড়া, মহকালপল্লি, দশরথপল্লি, সুভাষপল্লি, প্রধাননগর সহ বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ হয়নি। জামাইষষ্ঠীর দিন এনিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েন স্থানীয়রা। অধিকাংশই বাজার থেকে জল কিনে পরিস্থিতি সামাল দেন। এনিয়ে ক্ষুব্ধ নাগরিকদের অভিযোগ, পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে পুরসভা। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব মরশুমেই এই সমস্যা। কাজেই অবিলম্বে পুরসভাকে মেগা জল প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে।