• কোচবিহারের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে শম্বুকগতিতে
    বর্তমান | ০২ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শম্বুকগতিতে চলছে বলে খোদ পুরসভার চেয়ারম্যানই অভিযোগ তুললেন। এ বছরের মার্চ মাসে কাজ শেষ করার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির কাজ শেষ হয়নি এখনও। আর এর ফলে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাড়া গুণতে হচ্ছে পুরসভাকে। রবিবার দুপুরে শহরের ৪ নম্বর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেখানেই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তিনি নির্দিষ্ট এজেন্সির সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। 

    কয়েকদিন আগেই পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে অনিয়ম দেখেছিলেন চেয়ারম্যান। চিকিৎসক সময় মতো উপস্থিত না হওয়ায় তাঁকে ফোন করে ডেকে এনেছিলেন। এছাড়াও বাজার মাঠ সংলগ্ন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা নিয়েও এর আগে অভিযোগ উঠেছিল। শহরের সাধারণ মানুষ যাতে বাড়ির কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার পরিষেবা পান তারজন্যই এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু দেরি করে ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করা, চিকিৎসকের সময়মতো না আসার বিষয়ে বারবার অভিযোগ উঠছে। এর ফলে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সঠিক পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

    কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ৪ নম্বর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটির কাজ অত্যন্ত শ্লথ গতিতে চলছে। চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দু’মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কাজ শেষ হল না। এজেন্সি ধীরে কাজ করছে। এদিন গিয়ে সেখানে কাউকে পাইনি। দ্রুত কাজ করার কথা বলব। 

    নির্মীয়মাণ ওই ভবনটি তিনতলা। ইট গাঁথার কাজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্লাস্টার, ইলেক্ট্রিকের কাজ সহ অন্যান্য বহু কাজ এখনও বাকি। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি গড়ে উঠলে নাগরিকরা সেখান থেকে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা পেলে মেডিক্যাল কলেজের উপর রোগীর চাপ কমবে। কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা করাতে আসে। এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি হলে সেখানে শিশু ও প্রসূতিদের টিকাকরণ, সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশির মতো রোগের চিকিৎসা সহজেই মিলবে। রোগীদের ছোটখাট চিকিৎসার জন্য আর হাসপাতালে যেতে হয় না। কিন্তু ভবন নির্মাণের কাজ ধীর গতিতে চলায় কবে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে তার নিশ্চয়তা নেই। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)