• ডাকাতির ছক ভেস্তে দিল পুলিস, আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত ৫
    বর্তমান | ০২ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: পুলিসের তৎপরতায় ভেস্তে গেল বড়সড় ডাকাতির ছক। শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনের সশস্ত্র ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করেছে মালদহের চাঁচল থানার পুলিস। রবিবার ধৃতদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার রাতে চাঁচল সদরের হাটখোলা সংলগ্ন নির্জন এলাকায় জড়ো হয়েছিল পাঁচজন। ধৃত হাবিবুর রহমান, সাবিরুদ্দিন শেখ, ডালু আলি, আসাদুল শেখ ও মাবুদ শেখ কালিয়াচক থানা এলাকার বাসিন্দা। অভিযানের সময় ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, তিনটি তাজা কার্তুজ, একটি বড় ছুরি, লোহার রড ও শাবল সহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে চারটি মোবাইল ও একটি ছোট গাড়ি।

    পুলিসের দাবি, খবর ছিল বহিরাগত কয়েকজন দুষ্কৃতী হাটখোলা সংলগ্ন নির্জন এলাকায় জড়ো হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় পাঁচজনকে।  জিজ্ঞাসাবাদের সময় কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়লে তাদের তল্লাশি নেওয়া হয়। তখন একজনের কোমর থেকে তাজা কার্তুজ ভর্তি একটি পিস্তল পাওয়া যায়। চাঁচল থানার এক আধিকারিক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে যুবকরা জানিয়েছে, তারা ডাকাতি করার জন্য জড়ো হয়েছিল।  তবে আগে কোনও অপরাধমূলক কাজে যুক্ত ছিল কি না জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 

    ২০২৩ সালে বড়দিনের সন্ধ্যায় চাঁচলে বড় সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়। সেই অপারেশন চালিয়েছিল পূর্বাঞ্চলের কুখ্যাত ডাকাত দল। তখন পুলিসের ভুমিকা নিয়ে সরব হয়েছিল ব্যবসায়ী মহল।  তবে, বেশকিছু সতর্কতামুলক পদক্ষেপ নিয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিয়মিত নৈশ টহল ও নজরদারি চালানো হয়।

    স্থানীয় বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম বলেন, তিন বছর আগে এই চাঁচল থানা এলাকার বিহার সংলগ্ন অঞ্চলে ন’জনের একটি ডাকাত দলকে ধরা হয়েছিল। এবারও পুলিস আগেভাগে পদক্ষেপ নেওয়ায় বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছি।

    হাটখোলার ঘটনা প্রসঙ্গে চাঁচল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, চাঁচল এলাকায় একাধিক ছোট ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পুলিস সজাগ থাকায় কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। আমরা পুলিসের কাছে কৃতজ্ঞ। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)