নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: রাত বাড়তেই শহর শিলিগুড়ির অধিকাংশ রাস্তায় মদ্যপ যুবকরা তাণ্ডব করছে। চলছে শক্তি প্রদর্শন। সেভক রোড, হিলকার্ট রোড বা স্টেশন ফিডার রোড, সর্বত্রই একই ছবি। মদ্যপদের তাণ্ডবে আকছাড় ছোট-বড় গণ্ডগোল, বচসা, ঝামেলা লেগেই চলেছে। যা রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিলিগুড়ি পুলিসের। শনিবার রাতেও শিলিগুড়ি স্টেশন ফিডার রোডে(এসএফ রোডে) এমনই একটি ঘটনা ঘটে। রাস্তায় থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার ফুডস্টলগুলোর সামনে রাতে দুই যুবক গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের মারপিটে একটি ফুডস্টলের সামনে থাকা চেয়ার ভাঙচুর হয়। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এসে ঝামেলা মেটান। খবর দেওয়া হয় শিলিগুড়ি থানায়। পুলিস এসে এক যুবককে আটক করলেও বাকিরা চম্পট দেয়। তবে বারবার করে শিলিগুড়িতে মদ্যপ যুবকদের উপদ্রব রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে বাসিন্দাদের। শহরবাসীর দাবি,বিভিন্ন রাস্তায় পুলিসের নজরদারি ভ্যানের আরও বেশি টহলদারির প্রয়োজন রয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোল পাকানো এই যুবকদের কড়া শাস্তি দিলে তবেই বাগে আনা যাবে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি(পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, আমরা যেসব জায়গায় সাধারণত মদ্যপ অবস্থায় বিভিন্ন পানশালা এবং অন্যান্য জায়গা থেকে বেরিয়ে মানুষ গণ্ডগোল পাকায়, সেখানে বাড়তি নজরদারি রাখি। এছাড়াও কোথাও গণ্ডগোল হলে পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সম্প্রতি, শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চার মদ্যপ যুবকের হাতে এক নববধূ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। অন্যদিকে শিলিগুড়ি সেভক রোডের ওপর থাকা বিভিন্ন পানশালা, পাব, রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে মারধরের ঘটনার খবর সামনে আসে। একাধিকবার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে থাকে। তবে এই ধরনের ঘটনায় লাগাম পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনকী ইতিমধ্যে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব পানশালার সময় বেঁধে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। শনিবার রাতেও একই ধরনের ঘটনা সামনে আসায় পুলিসের বাড়তি নজরদারির দাবি উঠেছে।