• রায়গঞ্জ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকদিনে তিনটি বাড়িতে চুরি
    বর্তমান | ০২ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: কয়েক দিনের ব্যবধানে একের পর এক বাড়িতে চোরের হানাদারিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নেতাজিপল্লি এলাকায়। দুটি বাড়িতে জিনিসপত্র সাবাড় করতে পারলেও, একটি বাড়িতে কোনও কিছু না পেয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে চোরের দল। সেই বাড়িতে অন্তত হাফডজন তালা ও লোহার গ্রিল ভেঙে দিয়েছে। বাড়িতে ঢুকে ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা জল, মদ, বিরিয়ানি খেয়েছে চোরের দলটি। এলাকাবাসীর সন্দেহ, অত্যন্ত পেশাদার চোরের নজরে রয়েছে গোটা পাড়ার বাড়িগুলি। পুলিসের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন খোদ স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর সহ এলাকার বাসিন্দারা। 

    ঘটনা প্রসঙ্গে রায়গঞ্জের পুলিস সুপার সানা আখতারের বক্তব্য, পুলিস ঘটনাগুলির ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেছে। দুটো বাড়িতে চুরির চেষ্টা হলেও সেভাবে সফল হতে পারেনি। একটি বাড়িতে লুট হয়েছে। পুলিস খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার সিদ্ধার্থশঙ্কর বসুর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, তাঁর বাড়ি থেকে চুরি যায় কয়েক ভরি সোনার গয়না, কাঁসার বাসন এবং টাকা। একইভাবে কয়েকদিন আগেই ওই পাড়ারই আরেক বাসিন্দা রাজেন মাহাতর বাড়িতে জানালা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা চালায় চোরের দল। মোবাইল ফোন সহ কিছু জিনিস ওই বাড়ি থেকেও খোয়া যায়। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে পেশায় ঠিকাদার অজিত প্রামাণিকের বাড়িতে। তাঁর বাড়িতে চোরের দল রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে। বিগত কয়েকদিন আত্মীয়ের চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জে ছিলেন না অজিতবাবু ও তাঁর পরিবার। বাড়ি ফাঁকাই ছিল। শনিবার অজিতবাবুর স্ত্রী বাড়ি আসেন। বাড়িতে ঢুকে তিনি দেখেন, লোহার গ্রিল ভাঙা, বাড়ির কয়েকটি দরজার লক ভাঙা, তালাগুলো ভাঙা অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। বুঝতে পারেন, বাড়িতে চোর ঢুকেছিল। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়। পড়ে বাড়িতে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায়, একাধিক দরজার লক ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। তবে সেভাবে সফল হতে পারেনি। তবে এই বাড়িতে বসেই ভোজ সেরেছে চোরের দল। 

    ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর রতন মজুমদার বলেন, শহরে আমাদের ওয়ার্ড সবথেকে শান্তিপ্রিয়। কোনও উটকো ঝামেলা ঝঞ্ঝাট নেই। কিন্তু গত কয়েক দিনের ব্যবধানে চোরের উপদ্রবে এলাকাবাসী আতঙ্কিত। দফায় দফায় তিনটি বাড়িতে চোরের হানাদারি চলেছে। দুটি বাড়িতে সেভাবে সামগ্রী কিছু নিতে না পারলেও একটি বাড়িতে লুটের পরিমাণ অনেক বেশি। অজিত  বলেন,আমার ফাঁকা বাড়িতে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তাতে মনে হয় দলটি অত্যন্ত পেশাদার। পুলিস এলাকায় নজরদারি চালালে ভালো হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)