ট্যাপ দিয়ে পড়ে না জল, পাঁচ বছর কষ্ট হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন গ্রামে
বর্তমান | ০২ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: বসেছে জলের পাইপ। বাড়ি বাড়ি ট্যাপ কলের কানেকশনও হয়েছে। কিন্তু পানীয় জল অধরা! হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে এই চিত্র দেখা গিয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙ্গাইপুর, ধুমসাডাঙ্গি, খেজুরবাড়ি ও নবগ্রাম সহ একাধিক গ্রামের মানুষ দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জল সঙ্কটে। ব্লক প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ ট্যাঙ্কে করে গ্রামে গ্রামে জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষ। পিএইচই দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলবেন বলে আশ্বাস হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এর বিডিও সৌমেন মণ্ডলের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রীষ্মে ভূগর্ভের জলস্তর অনেকটা নীচে নেমে গিয়েছে। নলকূপ থেকে ঠিকভাবে জল ওঠে না। অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে গ্রামে ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পাইপ। তাতে কল লাগিয়ে ‘জিও ট্যাগিং’ পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও ওই কল দিয়ে পড়ছে না জল। ব্যবহারের অভাবে অযত্নে ও অবহেলায় ট্যাপগুলি নষ্ট হতে বসেছে। খেজুর বাড়ি এলাকার বাসিন্দা সোহরাব আলি, কলিমুদ্দিন ও বারুল সেখরা বলেন, মুঙ্গল পিএইচই দপ্তর থেকে জল সরবরাহ করার কথা। এখনও পর্যন্ত একফোঁটা জল ট্যাপ কল থেকে পড়েনি। সকাল ও বিকেলে ভুটভুটিতে দুটি ট্যাঙ্ক চাপিয়ে জল দিতে এলেও সব গ্রামে পৌঁছতে পারে না। বেশিরভাগ মানুষকে জল কিনে খেতে হয়। ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে পিএইচই দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারকে একাধিকবার জানানো হলেও কেউ গুরুত্ব দেন না বলে অভিযোগ। বিডিও বলেন, এলাকার মানুষ সমস্যার কথা জানিয়েছেন। দু’টি ট্যাঙ্কে করে জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। পিএইচই’র জল সরবরাহ কেন বন্ধ, খোঁজ নিয়ে দেখছি।
চাঁচল মহকুমা পিএইচই দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুমিত ঘোষকে ফোন ও মেসেজ করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। (ট্যাঙ্কে করে জল পৌঁছে দিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল। সেই জল সংগ্রহ করছেন স্থানীয় মহিলারা। - নিজস্ব চিত্র)