• জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শ্বশুরবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর
    বর্তমান | ০২ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালনা: এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দায়ী করে ভাঙচুর চালাল মৃতের পরিজনরা। রবিবার পুলিসের সামনেই ভাঙচুর হওয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিস। যুবকের বাড়ির লোকেদের দাবি, বধূ তাঁদের ছেলেকে ফোন করে হুমকি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিত। সেই কারণেই তাদের ছেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। কালনা থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে তাঁরা জানান। এদিকে, ভাঙচুরের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

    স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা শহরের মধুবন এলাকার বাসিন্দা বলরাম মণ্ডল (৩১) পেশায় গাড়ি চালক। বছর ন’য়েক আগে পার্শ্ববর্তী বড়মিত্রপাড়ার বাসিন্দা ঝুমা মণ্ডলকে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। দিন কুড়ি আগে ঝুমা স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন। কালনা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। গত শনিবার দুপুরে বলরামকে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকেরা। রবিবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত হয়। যুবকের মৃত্যুর জন্য স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দায়ী করতে থাকেন আত্মীয় পরিজনরা। রবিবার ময়নাতদন্ত শেষে শববাহী গাড়িতে দেহ নিয়ে যাওয়ার পথে যুবকের উত্তেজিত আত্মীয় পরিজনেরা মৃতের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মারধর করে ও বাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, পুলিসের সামনেই ভাঙচুর চালান আত্মঘাতী যুবকের আত্মীয়রা। যুবকের স্ত্রী ঝুমা বলেন, স্বামীর মারধর ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দিন কুড়ি আগে বাপের বাড়ি চলে আসি। কালনা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগও জানাই। গত শনিবার স্বামীর মৃত্যুর খবর পাই। আমি ঘরে ছিলাম না। স্বামীর আত্মীয় পরিজনরা আমাদের বাড়ি এসে দাদা, বউদি ও অন্যান্যদের মারধর করে ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।

    এদিকে মৃত যুবকের কাকা প্রদীপ মণ্ডলের দাবি, সম্প্রতি বউমার সঙ্গে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। তা নিয়ে ভাইপোর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়েছিল। দিন কুড়ি আগে বউমা তাদের একমাত্র ছেলেকে ফেলে রেখে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। অন্য পুরুষের সঙ্গে মেলামেশা করতে থাকে। এতে ভাইপো মানসিক ভাবে ভেঙে পরে। বাড়ি ছাড়ার পরও ফোনে ভাইপোকে নানা কটুক্তি করত ও হুমকি দিত। আমরা মনে করি, বউমা মানসিক অত্যাচারে ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় ভাইপো আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পুলিস যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। কালনার এসডিপিও রাকেশ চৌধুরী বলেন, দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে কেস রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)