নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা। নামমাত্র হাতে গোনা কয়েকটি ড্রেন থাকলেও বর্তমান সময়ে সেসব একপ্রকার অকেজো। ফলত বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে প্রায় গোটা হাসপাতাল চত্বর। জমে থাকা জল বেরোনোর জন্য উপযুক্ত কোনও ব্যবস্থা নেই। স্বাভাবিকভাবেই জরুরি বিভাগ কিংবা আউটডোর পর্যন্ত পৌঁছতে রোগী সহ পরিবারের সদস্যদের অনেক সময় জমা জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। রোগীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জেরেই বৃষ্টির সময় প্রায়শই জল যন্ত্রণার শিকার হতে হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই, নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করার ক্ষেত্রে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভব্রত ঘোষ বলেন, হাসপাতাল চত্বরে থাকা ড্রেনগুলি সাফাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতিকরণের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে এনিয়ে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। শহর লাগোয়া হেতমপুর পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে দুবরাজপুর ব্লকের বাসিন্দাদের এই হাসপাতালের উপর নির্ভর করতে হয়। পাশাপাশি সংলগ্ন ব্লকের একাধিক এলাকার মানুষও এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। বহু পুরনো এই গ্রামীণ হাসপাতালে আউটডোর থেকে শুরু করে ইন্ডোর পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও পরিকাঠামোগত প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল চত্বরের ভিতরে একাধিক ড্রেন রয়েছে। কিন্তু সেই ড্রেনের জল বাইরে বেরনোর ক্ষেত্রে কোনও পথ নেই। সেইসঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে সাফাই না হওয়ায় ড্রেনগুলি একাংশ আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। ফলত বৃষ্টির জল হাসপাতাল চত্বরেই জমে থাকছে। জরুরি বিভাগ সহ আউটডোরের সামনেও বৃষ্টির জল দীর্ঘ সময় জমে থাকে বলে অভিযোগ উঠছে। ফলত, একপ্রকার বাধ্য হয়েই জমা জল পেরিয়ে রোগীর পরিবারের সদস্যদের যাতায়াত করতে হয়। চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সরাও জল যন্ত্রণার শিকার। জমা জলের সমস্যা থেকে মুক্তি চাইছেন সকলেই। সেইসঙ্গে, ভরা বর্ষায় জমা জলে পোকামাকড়ের উপদ্রবের আশঙ্কাও করছেন।
ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসা করাতে আসা ইমাম উদ্দিন খান বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই জরুরি বিভাগের সামনে জল জমেছিল। সেই জল পেরিয়ে তবেই ভিতরে ঢুকতে হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে এভাবে জল জমে থাকতে পারে তা আমার ধারণা ছিল না। এমনটা হওয়া উচিত নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। দিলীপ দাস বলেন, বিভিন্ন সময় চিকিৎসা পরিষেবা নিতে এই হাসপাতালে আসতে হয়। বর্ষার সময় প্রতিবারই এই ঘটনা ঘটে। সদর গেট দিয়ে ঢোকার মুখ থেকেই হাসপাতাল চত্বরের একাধিক জায়গা জল থৈথৈ অবস্থা হয়ে থাকে। নিরুপায় হয়ে জল পেরিয়েই আমাদের চলাফেরা করতে হয়।