সংবাদদাতা, বারুইপুর: ফি বছর ভারী বৃষ্টি হলেই জয়নগর-মজিলপুর পুরসভা এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়। এই এলাকায় একাধিক ছোট নিকাশি নালা ও খাল রয়েছে। আছে বড় খালও। সেচ দপ্তরের মগরাহাট ড্রেনেজ ডিভিশনের উদ্যোগে এখানে বড় দু’টি খাল সংস্কার শুরু হতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে মগরাহাট ড্রেনেজ ডিভিশনের এক অতিরিক্ত বাস্তুকার বলেন, জয়নগরের বুড়োর ঘাট খাল ও থানার পিছনে জয়নগর খাল সংস্কারের কাজ শুরু হবে। সাতটি পয়েন্টে খাল দু’টি সংস্কারের জন্য ৮৬ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। তবে খালে জমা পলি তোলার জন্য পুরসভাকে সেচদপ্তরে আবেদন করতে হবে। তার অনুমোদন এলে ওই কাজ শুরু হবে।
পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ডে প্রায় আট কিলোমিটার ছোট ছোট নিকাশি খালের সংস্কার শুরু হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর এই কাজ করছে। খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৭৪ লক্ষ টাকা। এই প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই ছোট খালগুলি সংস্কার করা হয়নি। অবশেষে কাজটি শুরু হয়েছে। ১২০ জন কর্মী এই কাজ করছেন। তবে এই খালগুলি থেকে জল দু’টি মূল খালে পড়েছে। সেগুলি হল বুড়োর ঘাট খাল ও জয়নগর খাল। এই দু’টির সংস্কারও দ্রুত শুরু করতে হবে। এদিকে, বর্ষা তো প্রায় এসে গিয়েছে। তাই কাজটি কতটা হবে, সেই নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।
জয়নগর থানার পিছনের খালটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় জলপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। একই সমস্যা জয়নগরের বুড়োর ঘাট খালেও। এর ফলে পুরসভার ওয়ার্ডগুলিতে জল জমলে তা বের হতে পারত না। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল আরও কয়েকটি ছোট খাল, নালা সংস্কার না হওয়ার সমস্যা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কানিয়া খাল, দমপাড়া খাল, জয়চণ্ডী খাল, দেববেড়িয়া খাল, মিত্রপাড়া খাল, মাহিষ্যপাড়া খাল, হরিদাস দত্ত খাল, বেলে খাল, চাঁপাতলা খাল, দত্তপাড়া খাল, খাঁদার বাগান খাল পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে সংস্কার হচ্ছে। কিন্তু বড় দু’টি খাল সংস্কার কবে শুরু হবে, তা নিয়েই এখন চিন্তায় এলাকাবাসী। নিজস্ব চিত্র