দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। জরুরি বিভাগেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। রবিবার রাতের ঘটনা। ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন এক যুবক। তাঁর সঙ্গে আসে আরও ১৭ জন যুবক। তাঁরা দাবি করেন, তাঁরা ওই আহত যুবকের বন্ধু। দাবি করা হয়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করানোর পর আহত যুবককে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য অন্য একটি রুমে যেতে বলা হয়। অভিযোগ, আহত যুবকের সঙ্গে আসা বন্ধুরা একসঙ্গে ইঞ্জেকশন দেওয়ার রুমে ঢুকবেন বলে জোরাজুরি করতে থাকেন। নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়ায় তাঁরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, আহত যুবকের 'বন্ধুরা' নেশা করেছিলেন।
তাঁরা হাসাপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজারের উপর চড়াও হয়ে তাঁকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজার মোহন মুর্মু বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। রাত সাড়ে এগারোটা থেকে রাত প্রায় দুটো-আড়াইটে পর্যন্ত অশান্তি, ভাঙচুর চলেছে। এই ভাবে হাসপাতালে কাজ করা যায়?’
ভাঙচুর চলাকালীন হাসপাতালের তরফে ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি করেছেন সকলেই।