রবিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে ‘২৬-এ অপারেশন বেঙ্গল হবে’ বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার পাল্টা জবাব দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শ্রীরামপুর আদালত চত্বর থেকে তৃণমূল সাংসদ বললেন, ‘এ বার অপারেশন মোদী, অপারেশন শাহ হবে।’ পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপিও।
‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিলেন শাহ। তাঁর দাবি ছিল, ‘সংখ্যালঘু তোষণের জন্যেই মমতা অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করেছেন।’ এ দিন কল্যাণ পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘জঙ্গি এল আর গুলি করে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে গেল! বিএসএফ কী করছিল? মোদী-শাহ ঘুমোচ্ছিলেন?’ কল্যাণের সাফ কথা, ‘গুন্ডা, ধাপ্পাবাজ, খুনি সব তোমাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তোমাদের সঙ্গে নেই। ভোট হলে কাঁচকলা দেখিয়ে দেবে।’
প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ দিন ‘অপদার্থ’ বলেও তোপ দাগেন কল্যাণ। বলেন, ‘দু'টোই অপদার্থ। সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বলুল। অপারেশন মোদী, অপারেশন শাহ হয়ে যাবে। অপারেশন সিঁদুর করতে হলো কেন? ওদের ব্যর্থতার জন্যেই তো। অপারেশন বাংলা মানে আমাকে, আপনাকে খুন করতে চাইছে।’
রিগিং বন্ধ করতে পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামানত জব্দ হয়ে যাবে বলে কটাক্ষ করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কল্যাণ পাল্টা ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন বিজেপিকে। সে বার ‘আব কি বার, ৪০০ পার’ স্লোগান তুলেছিলেন শাহ। কিন্তু ২৪০-এই গুটিয়ে যায় গেরুয়া শিবির। সে কথা স্মরণ করিয়ে কল্যাণ বলেন, ‘অমিত শাহ রিগিং মাস্টার, গুজরাটে কম রিগিং করেছে! নির্বাচন কমিশন তো আপনাদের লোক। হিম্মত থাকলে ইলেকশন করুক, দেখিয়ে দেব।’
পাল্টা কল্যাণকে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা প্রণয় রায়। তাঁর কথায়, ‘আমার তো মনে হয়, পহেলগামের জঙ্গিরা কোথায় আছে, তৃণমূলের নেতারা জানেন। কারণ অনেক জঙ্গির কাছ থেকেই পশ্চিমবঙ্গে তৈরি আধার-ভোটার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। তাই বলছি, কল্যাণ বা তৃণমূলের নেতারা যদি জানেন, তাহলে বলে দিন জঙ্গিরা কোথায় আছে।’