• স্ক্যানারে মোমিনপুরের ট্রাভেল এজেন্সি মালিকের আর্থিক লেনদেন, NIA অফিসে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
    এই সময় | ০২ জুন ২০২৫
  • সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি মামলার তদন্তে নেমে দেশের ৮ রাজ্যে হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা NIA। কলকাতাতেও অভিযান চলে। সেই ঘটনায় সোমবার নিউ টাউনে NIA দপ্তরে হাজিরা দিলেন মোমিনপুরের এক ব্যবসায়ী মাসুদ আলম। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি মামলার তদন্ত করছে NIA। তাতেই মাসুদের আর্থিক লেনদেন তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে বলে খবর।

    ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেপ্তারির পরে পাকিস্তানের চরবৃত্তি নিয়ে একাধিক মামলা সামনে আসছে। টেরর ফান্ডিংয়ের বিষয়টিও গোয়েন্দাদের নজরে। স্ক্যানারে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিও।

    এরই মধ্যে ৩১ মে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA ৮টি রাজ্যে তল্লাশি চালায়। দিল্লি, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং অসমের ১৫টি জায়গায় অভিযান চালানো হয় বলে সূত্রের খবর। কলকাতার তিন জায়গাতেও চলে তল্লাশি অভিযান।

    এর আগে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে এক সিআরপিএফ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে যোগ থাকার সূত্র ধরেই কলকাতায় তল্লাশি চলে বলে খবর। কলকাতার আলিপুরের একটি দোকান, মোমিনপুরের একটি ট্রাভেল এজেন্সি এবং তপসিয়ায় একটি হোটেলে হানা দেন NIA।

    সেই ঘটনায় এ দিন মোমিনপুরের ট্রাভেল এজেন্সির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক মহিলাও। ওই সংস্থার মালিকের অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে বলে খবর।

    গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন, ২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল এই এজেন্সি থেকে তিনটি লেনদেন হয়েছিল, যা সন্দেহজনক। এই আবহে এজেন্সির মালিক মাসুদ আলমকে জেরার জন্য আজ তলব করে এনআইএ। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ NIA অফিসে ঢোকেন তিনি। তার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ বলেন, ‘সব বলে দেবো। এসে সব বলব।’

  • Link to this news (এই সময়)