রাজ্যে ধেয়ে আসছে ভয়াল বর্ষা, তোলপাড় হয়ে যেতে পারে গাঙ্গেয় উপকূল! দক্ষিণবঙ্গে সতর্কতা জারি ...
আজকাল | ০২ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরবঙ্গের আকাশে ইতিমধ্যেই জমেছে কালো মেঘের ছায়া। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী তিন দিন জুড়ে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পার্বত্য জেলাগুলিতে মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। হিমালয় সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনাও ক্রমবর্ধমান।
গতকাল পর্যন্ত ভুটানঘাটে ১১ সেন্টিমিটার, বক্সাডুয়ার ও কুমারগ্রাম চা বাগানে ৯ সেন্টিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ‘ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির’ সম্ভাবনা রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, হিমালয় ঘেঁষা অঞ্চলগুলিতে দৃশ্যমানতা নেমে এসেছে এক কিলোমিটারের নিচে। তিস্তা, তোর্সা ও জলঢাকা নদীতে জলস্তর দ্রুত বাড়ছে, যার ফলে ফ্ল্যাশ ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন। সকাল থেকেই কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় দেখা যেতে পারে। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শহরে টানা বৃষ্টি বা বড় কোনও ঝড়ের আশঙ্কা নেই।
এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ, যা শহরবাসীর জন্য প্রবল অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। পার্বত্য ও নিম্নাঞ্চলে কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়া, ফসলের ক্ষতি, শহরে জল জমে যাওয়া এবং ভূমিধসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে আপাতত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও, ৬ জুনের পর থেকে আবহাওয়া আবার শুষ্ক ও গরম হয়ে উঠবে বলে পূর্বাভাস। জনসাধারণকে সতর্কতামূলক কিছু দিক নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে:
খোলা মাঠ বা জলাশয়ে না যাওয়া
বজ্রপাত চলাকালীন ঘরে থাকা
কাঁচা বাড়িতে বসবাসরতদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ
উত্তরবঙ্গের দিকে প্রকৃতির রোষ ক্রমেই প্রবল হচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গেও ছড়িয়ে পড়ছে অস্থিরতা। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক নাগরিককে আবহাওয়া দপ্তরের নির্দেশ মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।