মিল্টন সেন,হুগলি: পাখা চলছে, জ্বলছে আলো। কিন্তু কর্মী নেই। অফিস টাইমে অফিসের ভেতর ঘুরে বেড়াচ্ছে সারমেয়। সপ্তাহের প্রথমদিন চুঁচুড়া পুরসভায় এমনই ছবি ধরা পড়ল।
কাজ বন্ধ করে শ্রমিক কর্মচারীরা পুরসভার গেটে বিক্ষোভে সামিল। পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন সাধারন মানুষ। অভিযোগ, বেলার দিকে চেয়ারম্যান অমিত রায় পুরসভায় ঢুকতে গেলে তাঁকেও বাধা দেওয়া হয়। যদিও বাধা কাটিয়ে চেয়ারম্যান অফিসে ঢোকেন।
এদিন চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। শ্রমিকরা নো ওয়ার্ক নো পে তে কাজ করেন। টানা ছ’ দিন কাজ না করলে তাঁদের বদলে অন্য লোক নিয়ে কাজ করানো হবে। অনেক পুরসভা ঠিকাদারের মারফত অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করেছে।এ রা পরিস্থিতি সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে।‘
সেখ দারাব আলি বার্ধক্য ভাতার জন্য এসেছিলেন। পুরসভায় কাজ না হওয়ায় ফিরে যেতে বাধ্য হন। সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,আমার ছেলের কলেজে ভর্তির জন্য একটা শংসাপত্র প্রয়োজন ছিল, কিন্তু পুরসভায় সব কাজ বন্ধ হয়ে থাকায় তা হল না।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বকেয়া মজুরির দাবীতে লাগাতার ধর্মঘট করে অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীরা। যার ফলে শহরের জঞ্জাল পরিষ্কার বন্ধ হয়ে পড়ে। আস্তাকুড়ে পরিণত হয় শহরের রাস্তাঘাট। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পুরো নগর উন্নয়ন দপ্তর তিন কোটি টাকা দিলে তখনকার মতো শ্রমিকদের বেতন মেটানো হয়। পুনরায় কর্মীরা কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তাঁদের আন্দোলন মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে।
পুরো প্রধান অমিত রায় বলেন, ‘বাইশ সালে পুরো বোর্ড গঠন হওয়ার পর রোজ কুড়ি টাকা করে মজুরি বাড়ানো হয়েছিল। একটা পুরো বোর্ডের মেয়াদ শেষ না হলে আবার মজুরি বাড়ানো রাজ্যের কোনও পুরসভায় হয়নি। অস্থায়ী শ্রমিকদের জন্য পুরসভার কোনও দায় নেই। তবু চুঁচুড়া পুরসভা অবসর থেকে মজুরি সব বিষয়ে অনেক সহানুভূতিশীল। এরপরও যাঁরা কাজ করবেন না তাঁদের বদলে অন্য লোক নেওয়া হবে।‘
শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছে। যতদিন না সমস্যার সমাধান হয় দাবি নিয়ে আলোচনায় বসেন চেয়ারম্যান ততদিন এই আন্দোলন চলবে।‘