নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত সিকিম। লাচুংয়ে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও, ছাতেনে ফের নেমেছে ভয়াবহ ধস। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩ জওয়ানের। মৃতদের নাম লক্ষীন্দর সিং, মুনিশ ঠাকুর ও অভিষেক লাখাদা। পাশাপাশি, আরও জখম চার সেনা জওয়ান। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ধসে চাপা পড়েছেন আরও প্রায় ৬ জওয়ান।অন্যদিকে লাচুংয় থেকে ফেরানো হচ্ছে পর্যটকদের। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২৮৪টি গাড়ি ও ১৬টি বাইকে ট্যুরিস্ট কনভয় থেং চেকপোস্ট পার করে ফিদাংয়ের দিকে গিয়েছে। মোট ১৬৭৮ জন পর্যটককে ফিদাংয়ের রাস্তায় রওনা দেওয়া হয়েছে। বহাওয়া ভালো থাকলে আজই তাঁদের গ্যাংটক পৌঁছে দেওয়া হবে। ট্যুরিস্ট কনভয়ের সামনে রয়েছেন উত্তর সিকিমের মঙ্গনের জেলাশাসক অনন্ত জৈন। লাচুং থেকে উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের স্বাগত জানান সিকিম পুলিসের ডিজি অক্ষয় সচদেব। তিনি বলেন, “লাচুং থেকে ১৬৭৮ জন পর্যটককে ধাপে ধাপে উদ্ধার করা হচ্ছে। পথে দুটি বড় ধস ছিল। সেগুলি সরানো সম্ভব হয়েছে। ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেটিও মেরামত করা হয়েছে। গাড়িতে ও বাইকে ফেরানো হচ্ছে পর্যটকদের। বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটকরা রয়েছেন। আমি অনেক পর্যটকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা সিকিম প্রশাসনের ভূমিকায় খুশি। আমরা পর্যটকদের অতিথি হিসেবে দেখি। ফলে তাঁদের উদ্ধারকাজে সবচেয়ে আগে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। লাচেনে যাঁরা আটকে আছেন, সেই পর্যটকদেরও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”অন্যদিকে, বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়ার লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। এই কারণে ওই রাস্তায় সুনতালে, লিকুভির ও মেল্লির উপর দিয়ে আজ, সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই জাতীয় সড়কে সকাল থেকে গাড়ির লম্বা লাইন। কয়েক কিমি এলাকা জুড়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে সকালে রানিপুলের কাছে প্রচণ্ড গতিতে আসা সিকিমের একটি সরকারি গাড়ি পরপর তিনটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। এতে বেশ কয়েকজন জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।