• পুতুলকে কাপড় পরাতে গিয়ে 'খেলার' বয়সেই 'বস্ত্রহরণ-ধর্ষণ' ৭-এর শিশুর! ভয়ংকর...
    ২৪ ঘন্টা | ০২ জুন ২০২৫
  • মৃত্যুঞ্জয় দাশ: পুতুলের কাপড় সংগ্রহ করতে গিয়ে দর্জির লালসার শিকার ৭ বছরের নাবালিকা। অভিযোগ পেতেই গ্রেফতার অভিযুক্ত দর্জি। পুতুল খেলার জন্য দর্জির কাছে অপ্রয়োজনীয় কাপড়ের টুকরো সংগ্রহ করতে গিয়েছিল সেই নাবালিকা। সাত বছরের ওই কিশোরীর ধর্ষণের অভিযোগ পেতেই অভিযুক্ত দর্জিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানা এলাকায়। অভিযুক্তর ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন নাবালিকার পরিবার। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ছুটির দিন থাকায় খাওয়া দাওয়ার পর দুপুরে নিজেদের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন নাবালিকার পরিবারের লোকজন। নাবালিকা পুতুল খেলার জন্য টুকরো কাপড়ের সন্ধানে পাড়ারই এক দর্জির দোকানে যায়। সেই সময় টুকরো কাপড় দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে শেখ আহিয়া নামের বছর ৫৭-র ওই দর্জি দোকানের মধ্যে ডেকে নেয়। এরপর দোকানের শার্টার নামিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

    পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার ছাতনা থানার দ্বারস্থ হয়ে শেখ আহিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসে পুলিস। রবিবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৫(২) ও পকসো আইনের ৪/৬ ধারায় মামলা রুজু করে সোমবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে ছাতনা থানার পুলিস। ধৃতের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজার দাবীতে সরব হয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। 

    অন্যদিকে, একা পেয়ে পাট খেতে প্রতিবন্ধী যুবতীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ। শারীরিক নির্যাতনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার অন্তর্গত ২ নং নওগাঁ অঞ্চলের ফতেচক গ্রামে। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন পরিবার। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে শংকর কুমার পট্টনায়েক (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে বছর ১৮ প্রতিবন্ধী যুবতী বাড়ির সামনে ছিল। সেই সময় অভিযুক্ত শংকর পট্টনায়েক একা পেয়ে যুবতীকে ফুসলিয়ে পাট খেতের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানেই প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। খেতের মধ্যেই নির্যাতিতাকে ফেলে রেখে পালায় যায় অভিযুক্ত। সেখান থেকে কোনও রকমে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। তারপরই বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়।

    তড়িঘড়ি তাকে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শংকর পট্টনায়কের বিরুদ্ধে সবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিস। অভিযুক্ত শংকরকে গতকাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সবং থানার পুলিস। অভিযুক্তকে সোমবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে পেশ করে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)