অরূপ বসাক: জলঢাকার জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে এক দাঁতাল হাতি তান্ডব চালাল মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটার খাস বস্তিতে। ১ টা বাড়ি সহ ৩ টি দোকানে ভাঙচুর করে খাদ্য সামগ্রী খেয়ে জলঢাকার জঙ্গলে চম্পট দেয় হাতি। গভীররাতে ঘটনাটি ঘটেছে।
খাস বস্তির বাসিন্দা সন্দীপ প্রধান জানান, তিনি বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ গ্রীলের গায়ে লাগানো পলিথিন ছেঁড়ার শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। দেখেন হাতি। তারপর গ্রীলের কিছু অংশ,জানালা ভেঙে কিছু না পেয়ে হাতি চলে যায়।
খাস বস্তীর বাসিন্দা কাজি ছেত্রী, শ্যাম প্রধান ও শম্ভু শর্মার দোকান এবং গুদাম ঘরে ব্যাপক ভাঙচুড় করে হাতিটি। চাল, ডাল বস্তা ছিঁড়ে খেয়ে লন্ডভন্ড করে খেয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। বন দফতরের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ এর আশ্বাস দিয়েছে।
সন্দীপ প্রধান বলেছেন, 'আমি শুয়েছিলাম, আমাদের এখানে হাতি এসেছিল আর হাতি আমাদের গ্রীল ভেঙে দিয়েছিল। অনেকক্ষণ ধরে হাতি এখনেই ছিল।'
কিছুদিন আগেই খবর মিলেছিল, আলিপুরদুয়ারে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল এক সদ্যজাত-সহ একই পরিবারের ৩ জনের। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের কুঞ্জনগর এলাকার সভাপতি মোড়ে হাতির হানায় শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জেরে গ্রামবাসীরা শনিবার দুপুর পর্যন্ত কুঞ্জনগর যাওয়ার রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে।
তারা অভিযোগ করেছিলেন, বনদফতরের উদাসীনতার জন্য এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার দিন রাতে কুঞ্জনগরের বাসিন্দা মনোজ দাস প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হলে হাতি তাকে মারে। ছেলের চিৎকারে মনোজের মা ৬৩ বছরের মাখনরানী দাস মনোজের একমাসের কন্যা সন্তান মনীষাকে নিয়ে বাইরে বের হলে হাতি তাদেরও মারে।
স্থানীয়দের দাবি, কুঞ্জনগর রেঞ্জের বনকর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করেন না। ডাকলেও তাদের পাওয়া যায় না। রাতেই বনকর্মীরা খবর পেয়ে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এলাকায় উত্তেজনা থাকলে ফালাকাটা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে রয়েছে।
এই ঘটনার ২দিন পরই খবর মিলল জলঢাকার জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে পড়ছে এক দাঁতাল। দাপিয়ে বেড়িয়েছে পুরো এলাকা। একটা বাড়ি-সহ ৩টে দোকান ভেঙে দিয়েছে। যদিও বন দফতরের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে।