স্বপ্নপূরণ! মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের পর এবার JEE অ্যাডভান্সেও শীর্ষস্থানে কাটোয়ার দেবদত্তা
প্রতিদিন | ০২ জুন ২০২৫
ধীমান রক্ষিত ও ধীমান রায়: বছর দুই আগে মাধ্যমিকে রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে শীর্ষস্থান পাওয়ার পরই লক্ষ্য স্থির করেছিল সে। আর ২ বছর পর ঠিক সেই লক্ষ্যপূরণ করে ছাড়ল বঙ্গকন্যা। এবার সর্বভারতীয় জয়েন্টে (অ্যাডভান্স) মেয়েদের মধ্যে ‘টপার’ পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দেবদত্তা মাজি। আইআইটি খড়গপুর জোন থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল দেবদত্তা। ৩৬০ নম্বরের মধ্যে ৩১২ পেয়ে শীর্ষস্থান লাভ করেছে উচ্চমাধ্যমিকে ষষ্ঠ হয়েছে সে। সোমবার সর্বভারতীয় জয়েন্টের (অ্যাডভান্স) ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, আইআইটি দিল্লি জোন থেকে প্রথম স্থানাধিকারী রাজিত গুপ্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৩৩২/৩৬০। দেবদত্তার এই কৃতিত্বের সোশাল মিডিয়া পোস্টে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী দেবদত্তা মাজির রেজাল্ট বরাবর চোখধাঁধানো। ২০২৩ সালে মাধ্যমিকে ৭০০-র মধ্যে ৬৯৭ পেয়ে প্রথম হয়েছিল। চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিকে ৫০০-র মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২, মেধাতালিকায় স্থান ষষ্ঠ। জয়েন্ট (মেনস) পরীক্ষার দ্বিতীয় ভাগে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল দেবদত্তা।
বাংলা মাধ্যমের ছাত্রীর এই বিরল কৃতিত্বে গোটা রাজ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও দেবদত্তা এই সাফল্যে ভেসে যায়নি। অপেক্ষা করছিল JEE অ্যাডভান্সে ভালো ফল করার। সোমবার তার ফল প্রকাশ হলে দেখা গিয়েছে, আইআইটি খড়গপুর জোন থেকে দেবদত্তা মেয়েদের মধ্যে প্রথম! প্রথমদিকে আইআইটি-তে পড়ার স্বপ্ন থাকলেও জয়েন্টের রেজাল্ট দেখে দেবদত্তা মতবদল করেছে। এখন বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স বা IISC-তে ভর্তি হতে চায় দেবদত্তার। পছন্দের বিষয় মহাকাশ বিজ্ঞান।
কাটোয়ার বিদ্যাসাগর পল্লির বাসিন্দা দেবদত্তার বাবা জয়ন্ত মাঝি পেশায় অধ্যাপক। মা শেলি দাঁ কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি গার্লস হাইস্কুল অর্থাৎ মেয়ে যে স্কুলে পড়াশোনা করেছে, সেখানকারই শিক্ষিকা। নিজের পড়াশোনার ক্ষেত্রে মা-বাবা উভয়েরই সাহায্য পেয়েছে সে। প্রত্যেক পরীক্ষায় এত ভালো ফলাফলের নেপথ্যে দেবদত্তার মেধার সঙ্গে এই গাইডেন্সও বেশ সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে মেধাবী ছাত্রী।