• ৫ বছরেও মুম্বই থেকে এল না অক্সিমিটার, টাকা খুইয়ে পুলিশে দ্বারস্থ শহরের ব্যবসায়ী
    প্রতিদিন | ০২ জুন ২০২৫
  • অর্ণব আইচ: গত পাঁচ বছরে বেশ কয়েকবার আছড়ে পড়েছে করোনার ‘ঢেউ’। ২০২০ সালে যখন করোনার ঢেউ প্রথম আছড়ে পড়ে, তখন মুম্বইয়ের একটি সংস্থাকে অক্সিমিটারের বরাত দেন কলকাতার এক ব‌্যবসায়ী। তার জন‌্য তিনি সংস্থাটিকে চার লক্ষ টাকা আগামও দেন। তার পর থেকে এই বছর পর্যন্ত করোনা ছড়িয়েছে এই রাজ‌্য-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। অথচ অক্সিমিটার আর মুম্বই থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছয়নি। সম্প্রতি এই ঘটনায় দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব‌্যবসায়ী।

    পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতার ওই ব‌্যবসায়ীর অফিস ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়া নর্থ রোডে। ২০২০ সালে করোনার সময় যখন অক্সিমিটারের চাহিদা তুঙ্গে, তখন ভবানীপুরের ওই ব‌্যবসায়ীর সঙ্গে মুম্বইয়ের কুরলা ইস্টের একটি সংস্থার কর্তারা যোগাযোগ করেন। ওই সংস্থাটি অক্সিমিটার সরবরাহ করে বলে জানায়। প্রথমে ভবানীপুরের ব‌্যবসায়ী অক্সিমিটার নিতে চাননি। কিন্তু হাজার টাকার অক্সিমিটার চারশো টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে জেনে ব‌্যবসায়ী অক্সিমিটার কিনতে রাজি হন। তাঁর সঙ্গে একাধিকবার মুম্বইয়ের সংস্থাটির সঙ্গে ফোন ও হোয়াটস অ‌্যাপে যোগাযোগ হয়। দশ লাখ টাকার বদলে এক হাজার অক্সিমিটার সরবরাহ করা হবে চার লাখ টাকায়, এমনই জানায় মুম্বইয়ের সংস্থা। যেহেতু ওই সময় যাত্রীবাহী পরিবহণ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল, তাই কলকাতা থেকে ওই ব‌্যবসায়ী মুম্বইয়ে গিয়ে দেখাও করতে পারেননি। তখন বেশিরভাগ ব‌্যবসা চলছে অনলাইনে।

    ওই অবস্থায় মুম্বইয়ের সংস্থাটি কলকাতার ব‌্যবসায়ীকে জানায়, তিনি ব‌্যাঙ্কের লেনদেনের মাধ‌্যমে টাকা পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই অক্সিমিটার পৌঁছে যাবে ভবানীপুরের ঠিকানায়। সেইমতো তিনি ভবানীপুরেরই শরৎ বোস রোডের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব‌্যাঙ্কের শাখা থেকে চার লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি ব‌্যাঙ্কে। কিন্তু বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করা সত্ত্বেও অক্সিমিটার এসে পৌঁছয়নি। এর পর থেকে ওই ব‌্যবসায়ী বহুবার মুম্বইয়ের সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। করোনার ঢেউ একাধিকবার আছড়ে পড়ে। কিন্তু ওই অক্সিমিটার আর কলকাতায় আসেনি। তিনি চার লাখ টাকা ফেরত চেয়েও পাননি।

    এই বছর ফের করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর ওই ব‌্যবসায়ী মুম্বইয়ের সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। পাঁচ বছর অপেক্ষার পর ওই ব‌্যবসায়ী মুম্বইয়ের সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মুম্বইয়ের ওই সংস্থার মালিককে তলবের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)