• ১,৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি! রয়েছে দুবাই-যোগও, ডিজিটাল অ্যারেস্ট মামলায় চার্জশিট দিল ইডি
    আনন্দবাজার | ০২ জুন ২০২৫
  • ডিজিটাল অ্যারেস্ট মামলায় কলকাতার বিচার ভবনে চার্জশিট জমা দিল ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। মামলা হাতে নেওয়ার ৬০ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আদালতে দাবি করেছে, ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে সাইবার প্রতারণার মাধ‍্যমে ১,৫০০ কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে এই চক্র। ওই চক্রের ‘মাস্টারমাইন্ড’ চিরাগ কপূর এবং যোগেশ দুয়ার নাম এবং তাঁদের একটি সংস্থার নাম রয়েছে চার্জশিটে।

    ইডি জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তে নেমে ৩০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ১,৫০০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিস মিলেছে। এই লেনদেনের সঙ্গে চক্রের মাথাদের যোগও মিলেছে। ইডির আরও দাবি, ডিজিটাল অ্যারেস্টের মামলায় দুবাই-যোগও পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা এবং ব‍্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে তার নথি এবং সিম কুরিয়রের মাধ্যমে দুবাই পাঠিয়ে দেওয়া হত বলে ইডি সূত্রে খবর। সেই সিম কার্ডে আন্তর্জাতিক রোমিং চালু করে প্রতারণা চলত। চার্জশিটে ইডি আরও জানিয়েছে, এই চক্রের মাথাদের ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    চিরাগ এবং যোগেশকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। গল্ফগ্রিনের এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ প্রতারণার তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। ওই মহিলা ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে খুইয়েছিলেন ৪৭ লক্ষ টাকা। সেই তদন্তে নেমেই কলকাতা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ১০৪টি পাস বুক, ৬১টি মোবাইল, ৩৩টি এটিএম কার্ড, দু’টি কিউআর কোড মেশিন, ১৪০টি সিম কার্ড, ৪০টি স্ট্যাম্প ও ১০টি চুক্তিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল মোট আট জনকে। অভিযান চালিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল চিরাগকে। তাঁকে জেরা করে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওঙ্কার সিংহ নামে আরও এক জনকে। সেই সূত্র ধরেই নাম উঠে এসেছিল যোগেশ ও আদিত্য দুয়ার। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি যোগেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চক্রের ‘মূল মাথা’ চিরাগের বাড়ি কলকাতায় হলেও তাঁরা চক্র কারবার চালাতেন দিল্লি ও বেঙ্গালুরু থেকেই। বিরাট অঙ্কের প্রতারণার কারণে তদন্তভার পরে হাতে নেয় ইডি। চিরাগ এবং যোগেশকেও নিজেদের হেফাজতে নেয় তারা। এ বার চার্জশিটে রয়েছে তাঁদের নাম।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)