দক্ষিণে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনই নেই, নাজেহাল করবে গরম! দুপুরে বাইরের কাজ এড়িয়ে চলার পরামর্শ
আনন্দবাজার | ০২ জুন ২০২৫
উত্তরের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা থাকলেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গরম বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে দুই-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কলকাতা-সহ দক্ষিণের বেশির ভাগ জেলাতেই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের দুই-এক জায়গায় ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
গরমের জন্য দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা হতে পারে বলে সতর্ক করে আবহাওয়া দফতর। এই ক’দিন বেশি ক্ষণ রোদে না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবহবিদেরা। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাইরের কাজ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সুতির হালকা পোশাক পরা, পর্যাপ্ত জল খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণের জেলাগুলিতে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি শুষ্ক পশ্চিমা বায়ু থাকার কারণেই আবহাওয়া মূলত গরম এবং আর্দ্র থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গরম থাকলেও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যে বর্ষা প্রবেশ করে গিয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে কোথাও কোথাও ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। বুধবারও উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ এবং ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা রয়েছে।
ঝড়বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের নিচু এলাকাগুলিতে সাময়িক ভাবে জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের পার্বত্য অঞ্চলে ধস নামারও আশঙ্কা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও বৃষ্টিপাতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানান, পূর্ব বিহার এবং আশপাশের অ়ঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দেড় কিলোমিটার উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এ ছাড়া পূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে উত্তরপূর্ব অসম পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। এটি মধ্যে বিহার, উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের উপর দিয়ে গিয়েছে। এই অক্ষরেখাটিও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ০.৯ কিলোমিটার উপরে রয়েছে। তার সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি শুষ্ক পশ্চিমাবায়ুও আসছে। এগুলির জন্য উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আবহাওয়া শুষ্ক এবং আর্দ্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।