অবৈধ ভাবে টাকা চাওয়া হচ্ছে পার্কিং ফি-র নামে। রীতিমতো তোলাবাজি করছেন তৃণমূলের লোকেরা! এই অভিযোগ তুলে এ বার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে বসলেন এক টোটোচালক। শুধু মুখ্যমন্ত্রীর দফতরই নয়, হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিককেও চিঠি দিয়েছেন তিনি।
কয়েক মাস আগে শালিমার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় পার্কিং নিয়ে বিবাদের ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই নড়েচড়ে বসেছিল পুলিশ। তাতে খানিক স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। কিন্ত সম্প্রতি শালিমার স্টেশনচত্বর এলাকায় আবার সেই তোলাবাজি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। তা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠি লিখেছেন সন্দীপ দাস নামে এক টোটোচালক। তাঁর অভিযোগ, সব চালকের থেকে বেআইনি ভাবে ৩০ টাকা করে পার্কিং ফি নিচ্ছেন কয়েক জন। পার্কিংয়ের কোনও স্লিপও দেওয়া হচ্ছে না। তিনি এর প্রতিবাদ করেছিলেন। এর জন্য তাঁকে প্রাণে মারারও চেষ্টা হয়। নিয়মিত তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সন্দীপ বলেন, ‘‘আমি তৃণমূল করি। আর যাঁরা টাকা নিচ্ছেন, তাঁরাও তৃণমূল করেন। এঁরা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’’ এ ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী-সহ হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকদের মেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন সন্দীপ। হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
দক্ষিণ হাওড়া তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈকত চৌধুরী বলেন, ‘‘এধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে কয়েক জন দলের ভারমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ সব করে থাকতে পারেন।’’