সময়ের বাধা থাকছে না আর, যখন খুশি যাওয়া যাবে শৌচাগারে, ক্ষোভের মুখে পড়ে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার রেলের...
আজকাল | ০৩ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: একাধিক রেল যাত্রী সংগঠন এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের চাপে পড়ে অবশেষে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় বেশিরভাগ ট্রেন থেকে শৌচাগার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত পিছিয়ে এল ভারতীয় রেল।
সম্প্রতি পূর্ব রেল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়, শিয়ালদহ ডিভিশনের শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় ১১টি 'মেমু' ট্রেন তুলে দিয়ে ইএমইউ ট্রেন চালানো হবে। তবে ইএমইউ রেকগুলিতে কোনও শৌচাগার না থাকায় পূর্ব রেল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল ওই ট্রেনের যাত্রীদের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য কৃষ্ণনগর স্টেশনে একাধিক ইএমইউ ট্রেনকে ১৯-৩২ মিনিট পর্যন্ত দাঁড় করানো হবে। যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত যাত্রীরা প্রয়োজন মতো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারেন। রেল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, আগামী ৪ জুন থেকে নতুন এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে।
রেলের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। এর পাশাপাশি বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র (কাঞ্চন) নিজে উদ্যোগ নিয়ে একাধিক রেলকর্তা এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে রেলের এই 'অমানবিক' সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন।
এছাড়াও মুর্শিদাবাদের একাধিক রেলওয়ে যাত্রী সংগঠন জানিয়েছিল, ৪ জুন থেকে শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় ট্রেনগুলিতে শৌচাগার না থাকলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এমনকি ট্রেন অবরোধ করার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল।
শিয়ালদহ-লালগোলা শাখা যাত্রীদের বক্তব্য ছিল, প্রায় ২২৭ কিলোমিটার যাত্রাপথে যদি ট্রেনের মধ্যে শৌচাগার না থাকে তাহলে বয়স্ক যাত্রীদের পাশাপাশি প্রচুর অসুস্থ এবং সাধারণ নাগরিকরাও অসুবিধার মধ্যে পড়বেন। নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট স্টেশনে প্রকৃতির ডাকে সকলকে সাড়া দেওয়ার রেলের আদেশনামার কোনও যৌক্তিকতা কেউ খুঁজে পাননি।
বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “আজ (সোমবার)আমি পূর্ব রেলের ডিআরএমের সঙ্গে গোটা বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছি। তাঁকে সাধারণ যাত্রীদের অসুবিধার কথা বুঝিয়ে বলা হয়েছে। তারপরই রেলের তরফ থেকে পরবর্তী নির্দেশকা জারি না হওয়া পর্যন্ত আগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।“