জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভোলবদল! মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপারে সঙ্গে বৈঠকের পর নিজের বক্তব্য় প্রত্যাহার করলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বললেন, 'গতকাল যেটা আমি বসেছিলাম, লালগোলা, ভরতপুর, বড়ুয়া নিয়ে পুলিসের বিরুদ্ধে, সেটা আমার বলা ঠিক হয়নি'।
অনুব্রত মণ্ডলের পর এবার হুমায়ুন কবীর। বহরমপুর দলেরই এক অনুষ্ঠানে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক বলেছিলেন, 'মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু থানা, যেমন ওই ঘটনাটি ঘটেছে, সামশেরগঞ্জ থানায়। এখনও লালগোলা থানা, বড়ুয়া থানা, আমার ভরতপুর থানা এমন কিছু কর্মকাণ্ড চলে। আমি যদি বিরোধী আসনে থাকতাম, ২৪ ঘণ্টা সময় লাগত না শায়েস্তা করতে'। সঙ্গে মিডিয়াকে পরামর্শ, কেন এই খবরগুলো করতে পারেন না। কীসের ভয় আপনাদের। আপনারা সত্ সাহস নিয়ে খবরগুলি করুন, পুলিসের চমকানিকে ভয় পাবেন না। পুলিস যদি আপনাদের পরিবারকে বিরক্ত করে, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে। রাতের অন্ধকারে তুলে আনে, আমাকে খবর দেবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি'।
এরপর আজ, সোমবার বহমরপুরে হুমায়ুনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার সানি কুমার রাজ। বৈঠকে শেষে হুমায়ুবলেন, 'গতকাল যেটা আমি বসেথিলাম, লালগোলা, ভরতপুর, বড়ুয়া নিয়ে পুলিসের বিরুদ্ধে, সেটা আমার বলা ঠিক হয়নি। আমি সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করছি। আমার সঙ্গে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। বহমরপুরে মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপারের সঙ্গে। আমার মনে হল, আগামীদিনে যে সমস্যা নিয়ে মানুষ আমার কাছে আসবে, দৃষ্টিতে আসবে। ওনাকে বললেই সহজ পদ্ধতিতে সমাধান বেরিয়ে আসবে'।
বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ের কটাক্ষ, 'মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের যেমন পুলিসের অবস্থা, তেমন নেতাদের অবস্থা। কেউ কম যায় না। যেমন তাঁদের মুখে ভাষা। অনুব্রত মণ্ডল থেকে শুরু করে, তাঁরা পুলিসকে যেভাবে, বাড়ির মহিলাদেরকে নিয়ে যে ধরণের নোংরা মন্তব্য করছেন। আর একজন বিধায়ক তিনিও পুলিসকে নিয়ে এই ধরণের মন্তব্য করছেন। পুলিসের শোনা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কারণ, পুলিসরা পুরোপুরি নবান্নের নির্দেশের কাজ করছে। পুলিসে বুকে পাঠা থাকলে, জবাবটা দিত'।