• মুসকানও ফেইল! মালদায় মেরে তপনে তুলে নিয়ে গিয়ে দেওয়ালে প্লাস্টার দিয়ে বাড়িওয়ালি গেঁথে দিল ব্যবসায়ীকে, প্রেম নাকি...
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ জুন ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:

    মালদায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানা এলাকা থেকে। খুন করে বাড়িতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল মৃতদেহ। এমনকি প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছিল ওই এলাকা। মে মাসের ১৮ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন মালদার পুখুরিয়া থানার কোকলামারি নাদাব পাড়ার বাসিন্দা সাদ্দাম নাদাব। যদিও তিনি ইংরেজবাজার শহরে তাঁর আত্মীয়র বাড়িতে থাকতেন। পেশায় ভীন রাজ্যে শ্রমিক সংগ্রহকারী ঠিকাদার এই যুবক। ইংরেজ বাজার থানায় সাদ্দামের আত্মীয়রা নিখোঁজের অভিযোগ জানান। তদন্তে নেমে কোনওভাবেই ওই যুবকের হদিশ পাচ্ছিলেন না ইংরেজবাজার থানার আধিকারিকেরা।

    কাকিমা মৌমিতা নদাবকে পুলিশ আটক করে

    অবশেষে যে আত্মীয়ের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সাদ্দাম সম্পর্কে তার কাকিমা মৌমিতা নদাবকে পুলিশ আটক করে। প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করলেও। লাগাতার পুলিশি জেলায় ভেঙে পড়েন মৌমিতা। এবং তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে সাদ্দামকে খুন করা হয়েছে। পুলিশি যেরাতে  তিনি এও জানান দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে তার বাবার বাড়িতে বাড়ির মধ্যেই মৃতদেহ পুতে দিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়া আছে। সেই সূত্র ধরেই আজ সকালে তপন থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদার ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে মৌমিতা নাদাব কে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনার সাথে আর কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    খুনের নেপথ্য কারণ:

    তবে আর কোনও কারণ এই খুনের পিছনে ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছিল পুলিশ। সূত্রের খবর, কাকিমার সঙ্গে এই যুবকের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল, এমন তথ্য শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর জেরেই যুবককে খুন হতে হয়েছে কিনা, আর কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। মৃত যুবকের পরিবারের অনেকেরই অভিযোগ, শুধু মৌমিতা নন, সাদ্দামের খুনের ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন আরও অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ এটি পরিকল্পিত ঘটনা। সবদিক খতিয়ে দেখতে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। 

    সাদ্দামকে দেওয়ালে দেহ গেঁথে প্লাস্টার করা হয়েছে

    দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে মৌমিতার বাপের বাড়ি। সেখানেই সাদ্দামকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। তারপর দেওয়ালে দেহ গেঁথে প্লাস্টার করা হয়েছে। সাদ্দামের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। গলাতেও আঘাত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। এই হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, দুই জেলাতেই। ঠিক কী কারণে এমন নৃশংস ভাবে খুন করা হল সাদ্দামকে, শুধুই কি মৌমিতা নাকি আরও কেউ জড়িত রয়েছেন এই ঘটনায়, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে চলেছে পুলিশ। 

    যে মার্ডার করেছে তার ডিটেলস:

    Moumita Nadab 


    (ডাক নাম Rani)


    W/O- Rahaman Nadab  (Highschool teacher)


    Kaklamari


    PO- Kalkamari


    PS- Pukhuriya


    Dist.- Malda

    যে মার্ডার হয়েছে তার ডিটেলস

    Saddam Nadab(30)


    S/O- Habib Nadab

    Nephew of Rahaman Nadab* ( Jadupur Highschool teacher)


    S/O- Lt. Shafiruddin Nadab


    Koklamari


    PO- Koklamari 


    PS- Pukhuriya


    Dist. - Malda


    মার্ডার তারিখ - 18.05.2025

    মার্ডার হওয়া ব্যক্তি বাইরে মাইগ্রেন লেবার নিয়ে যেতেন এবং ঠিকাদারের কাজ করতেন সেই সূত্রে যা ইনকাম করে টাকা পয়সা হত তা সব এই মেয়েটির (চাচি) কাছে রাখত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় টাকা পয়সা নিয়ে সম্ভবত ঝামেলার সূত্রপাত এরপরে মার্ডার করে নিয়ে এসে মালদা থেকে রাজমিস্ত্রি নিয়ে এসো দেহকে ৫ টুকরো করে  তপন থানার বালকাহাড়া গ্রামে মেয়েটির বাপের বাড়িতে  বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে।

    মৃত ব্যক্তির বাড়ি থেকে থানায় মিসিং ডায়েরি করার পর পুলিশ তদন্ত করে মেয়েটিকে জেরা করলে মেয়েটি সমস্ত কিছু স্বীকার করে নেয় এবং তার বাপের বাড়ি তপন থানা এলাকার বাল্কাহারা গ্রামে এসে বর্তমানে মৃতদেহটি খুঁজে বের করতে প্রশাসনকে সাহায্য করছে।

     

     

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)