জামাইষষ্ঠীতে স্বামীর সঙ্গে বাপেরবাড়ি এসেই বিপত্তি, বহুতলের বাইরে মিলল বধূর রক্তাক্ত দেহ
প্রতিদিন | ০৩ জুন ২০২৫
মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বিয়ের ছ’মাসের মাথায় জামাইষষ্ঠীতে বাপেরবাড়িতে এসেছিলেন। সোমবার সকালে বহুতলের পাশ থেকে উদ্ধার হল ওই তরুণী বধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ। তিনি কি ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন? নাকি তাঁকে ‘খুন’ করা হয়েছে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। মৃতার নাম প্রীতি বাগ মজুমদার (২৯)। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত জানতে পেরেছে, মাস ছয়েক আগে প্রীতির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বাগান্ডার বাসিন্দা ঋত্বিক মজুমদারের। ফেসবুকে আলাপ থেকে সাতবছর ধরে প্রেম। তারপর মাস ছয়েক আগে বিয়ে হয় দু’জনের। রবিবার সকালে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে প্রীতি এবং ঋত্বিক দু’জনে গিয়েছিলেন নতিবপুরে। ঋত্বিক গতকাল রাতেই জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠান সেরে ফিরে গিয়েছিলেন। প্রীতি বাপেরবাড়ি থেকে যান। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, রাতে খাওয়াদাওয়ার পরও স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। মায়ের সঙ্গেই তিনি ঘুমাতে যান। কিন্তু তারপরে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? সেই প্রশ্ন উঠেছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মধ্যরাতে তিনি বহুতলের ছাদে গিয়েছিলেন। মোবাইল ফোন থেকে একটি ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। সেখানে তরুণীকে বলতে শোনা যায়, “আমাকে ক্ষমা করবেন।” সেখান থেকেই পুলিশ অনুমান করছে, ছাদ থেকে তিনি লাফিয়ে ‘আত্মঘাতী’ হতে পারেন। তবে ‘খুনে’র দিকটিও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। আজ সোমবার সকালে ওই বহুতলের পাশে প্রীতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রীতিদের বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। তখন দেখা যায়, ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে তালা ঝোলানো। চাবি ফ্ল্যাটের ভিতরে রয়েছে। তাহলে কি প্রীতিই বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে বেরিয়েছিলেন? সেই প্রশ্নও উঠেছে। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কি প্রীতির কোনও মনোমালিন্য চলছিল? সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।