নব্যেন্দু হাজরা: রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন কাজের জন্য নানা সময়ে নানা কমিটি তৈরি হয়। সেই কমিটিতে শুধু সরকারি আমলা নন, থাকেন বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ থেকে অন্যান্য মহলের লোকজনও। তেমনই সুপ্রিম কোর্ট এবং হাই কোর্টের নির্দেশেও রাজ্যে তৈরি হয়েছে একাধিক কমিটি। এবার কোন দপ্তরে কতগুলো কমিটি রয়েছে, তার তালিকা চেয়ে পাঠাল নবান্ন।
কমিটিতে কতজন আছে, তাঁদের নাম, কমিটি কী কী কাজ করছে, কতগুলো বৈঠক হয়েছে, কোন কোন রিপোর্ট জমা পড়েছে, তার যাবতীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগের তরফে মে মাসের শেষের দিকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রত্যেক দপ্তরকে। চলতি সপ্তাহেই সব দপ্তরের তরফে এই তালিকা পাঠানো হবে বলে খবর। অনেক কমিটিতে যেহেতু বাইরের ব্যক্তিকেও যুক্ত করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে তাঁদের নামও জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে কী উদ্দেশে এই সমস্ত কমিটি-র তালিকা চাওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে চিঠিতে কোনও উল্লেখ করা হয়নি। প্রত্যেক দপ্তরের সচিবকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন, এই সমস্ত কমিটিগুলো তৈরি হলেও সেগুলো আদৌ কি কাজ করছে, সেবিষয়ে নবান্ন অবহিত হতে চাইছে। আদালত যদি কোনও কারণে এবিষয়ে জানতে চায়, তাহলে যাতে কোনও সমস্যা না হায়, তাই কমিটিসংক্রান্ত যাবতীয় ঠিকুজি-কুষ্ঠি নবান্নে সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, শ্রম থেকে পরিবহণ দপ্তরে নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে এই কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কখনও সুপ্রিম কোর্ট কখনও আবার হাই কোর্ট। শিক্ষাদপ্তরের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক, নারী ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ক বা পরিবহণ দপ্তরের রোড সেফটি কমিটি-র মতো প্রত্যেক দপ্তরেই একাধিক কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিগুলোর ভূমিকাই এবার নখদর্পণে রাখতে চাইছে নবান্ন। প্রয়োজনে তারা দুই আদালতকে বিষয়টি সম্পর্কে জানাবে, যে তাদের নির্দেশ কীভাবে রাজ্য সরকার পালন করছে। নবান্নের এক কর্তার কথায়, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন কমিটি রয়েছে। এই কমিটিগুলি বিভিন্ন কাজের জন্য গঠিত হয়। সেই কাজ হয়ে গেলে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এসবই নবান্ন নিজেদের তথ্যভান্ডার তৈরি করে রাখতে চাইছে।